Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে অন্য নারীর ফোন, অতঃপর...

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৫৭ AM
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৫৭ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


হবিগঞ্জের লাখাইয়ে অন্য যুবতীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে উজ্জ্বল মিয়া (২২) নামে এক কলেজছাত্রকে হত্যা করেছে তার প্রেমিকা। এ ঘটনায় প্রেমিকা ফারজানা ও তার বাবা মঞ্জু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধায় সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান। এর আগে বিকেলে মেদি বিল থেকে উজ্জ্বলের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রবিউল লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের শাহ্ আলমের ছেলে ও মাধবপুর সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলো। 

আটককৃতরা হলো, একই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মঞ্জু মিয়া (৫০) ও তার কন্যা ফারজানা (১৭)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ফারজানার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে জানান, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ছাত্রী ফারজানার সথে ফেসবুকে পরিচয় হয় উজ্জ্বল মিয়ার। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ফারজানার বাড়িতে যান উজ্জ্বল। সেখানে ‍দুজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত চলাকালে উজ্জ্বলের মোবাইল ফোনে অপর এক যুবতীর কল আসে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ফারজানা। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফারাজানা পাথর দিয়ে উজ্জ্বলের মাথায় আঘাত করে। পরে হাতের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ঘরের ভেতরে গর্ত খুঁড়ে মরদেহটি মাটিচাপা দেয় ফারজানা। ঘটনার ১০/১২ দিন পর ফারজানা ও তার বাবা মঞ্জু মিয়া উজ্জ্বলের মরদেহটি নিয়ে মেদি বিলে ফেলে দেয়।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বল নিখোঁজ হয়েছে মর্মে তার পরিবারের পক্ষ থেকে লাখাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। সাধারণ ডায়রির ভিত্তিতে পুলিশ বিষয়টির তদন্তে নেমে ২১ এপ্রিল রাতে ফারজানা ও তার পিতা মঞ্জু মিয়াকে আটক করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে উজ্জ্বলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

Bootstrap Image Preview