Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঝিকরগাছার নায়ড়ায় আগুনে দগ্ধ শিশু মারিয়া বাঁচতে চায়

শহিদুল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৪৪ PM
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


ছোট্ট শিশু নাম মারিয়া। আগুনে পুড়ে ঝলসে গেছে তার কচি শরীর টা। ঝলসানো শরীরে তীব্র যন্ত্রণায় ছটফটানিতে পরিবারের সদস্যদের মাঝে এক নিদারুন চাপা কষ্ট বিরাজ করছে। ভালোবাসার এই পৃথিবীতে ভালোবাসার মানুষের জন্যে আমরা কত কিছুই না করতে পারি। কিন্তু সে ভালবাসা আর মায়া মমতা কি এই ছোট্ট মারিয়ার প্রতি কোন সহৃদয় মানুষের দেখা মিলবে না। সমাজের বিত্তবান সকলের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারিনা একটি অসহায় পরিবারের জন্যে। মারিয়া সুস্থ হয়ে উঠলে বেঁচে যাবে একটি পরিবার।হেঁসে খেলে বেড়াতে পারবে সবার মাঝে।

যশোরের ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া গ্রামের ভাটার ট্রলি চালক হত দরিদ্র রুবেল হোসেনের শিশু কন্যা মারিয়া (৭) এবং স্থানীয় নায়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী।

গত বছরের ডিসেম্বরে আগুন পোহাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে পুরো শরীর ঝলসে যায় মারিয়ার।অসহায় পিতা ট্রলি চালক মেয়ের চিকিৎসার্থে আত্মীয় স্বজন ও গ্রামবাসীর সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে সে সময় চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন।সেসময় মেয়ের চিকিৎসার জন্য যশোরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান।কিন্তু অবস্হার তেমন পরিবর্তন না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।সেখানে ১৫দিনে খরচ হয় প্রায় দু'লক্ষ টাকা।অসহায় পরিবারের জন্য এই ব্যায় বহুল খরচ যোগাতে না পেরে সেখান থেকে বাড়ীতে ফেরত নিয়ে আসেন মারিয়ার দরিদ্র পিতা রুবেল।

বর্তমানে যশোর কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চলছে মারিয়ার।দরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে শিশু কন্যার ব্যায় বহুল চিকিৎসা চালাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে নিদারুন কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছে বর্তমানে শিশু মারিয়া সহ পরিবারটি। অথচ পুরোপুরি মারিয়াকে সুস্হ করে তুলতে এখনো প্রায় ৬ লক্ষ টাকা দরকার। চোখে শর্সে ফুল দেখার মতো অবস্থায় অসহায় পরিবারটি।

মারিয়ার পিতা ভাটার ট্রলি চালক রুবেল বলেন, সারাদিন ভাটার ট্রলি চালিয়ে রোজগার হয় ২৫০/৩০০টাকা। সংসারে মারিয়া ছাড়াও স্ত্রী দিয়ে আরও একটি কন্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে সংসার চালাতেই নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্হা। সেখানে আগুনে পুড়া সন্তান মারিয়ার চিকিৎসা তার পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আত্মীয় স্বজন, গ্রামবাসী ও নিজের কষ্টার্জিত টাকায় চিকিৎসা সেবা চালিয়েছে। আর তো সম্ভবপর হচ্ছেনা। কন্যার চিকিৎসা চালাতে স্হানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন ও করেছি। কিন্তু তেমন কোন সাড়া ও সহযোগিতা পাইনি।

এমতাবস্থায় শিশু কন্যার চিকিৎসা সেবা চালাতে সমাজের বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন তার পরিবার।যাতে তার শিশু কন্যা মারিয়া সুস্হ হয়ে আরও দশটি শিশুর মত হেঁসে খেলে বেড়াতে পারে।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মোবাইল নং- ০১৭৩৩-৪৫৭৩৩১ (বিকাশ)।

 

Bootstrap Image Preview