প্রথমবার ধষর্ণের ভিডিও করে রাখে। পরে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মানিকগঞ্জে চার বছর ধরে গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার সেই আসামি যুবলীগ নেতা আলী হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। আত্মসমর্পনের পর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
রবিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত আলী হোসেন আত্মসমর্পণ করে। এরপর জামিন আবেদন করলেও আদালত নামঞ্জুর করেন।
অপরদিকে পুলিশ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত আগামী ২৩ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আলী হোসেন ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দরবেশ বেপারীর ছেলে। সে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
গত ১৬ এপ্রিল এক প্রবাসীর স্ত্রী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর সাথে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আলী হোসেনের। একদিন ফাঁকা বাড়িতে গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে আলী হোসেন ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সে। কথা মতো না চললে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয় ওই গৃহবধূকে। এভাবে চার বছর ধরে তাকে ক্রমাগত ধর্ষণ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, তার দুই দোকান কর্মচারীসহ একাধিক ছেলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে তাকে বাধ্য করা হয়। এখানেই শেষ নয়, ওই লম্পট গৃহবধূর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকেও ধর্ষণের ফাঁদ পাতে। এরপরই বিষয়টি ফাঁসহয়।
মেয়ের ইজ্জত বাঁচাতে থানায় মামলা দায়েল করেন ওই গৃহবধূ। এরপরই আলী হোসেন পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালাচ্ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।