Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাজশাহীতে অবৈধ পুকুর খননের দায়ে চারজনের জেল

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৪৬ PM
আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৫১ PM

bdmorning Image Preview


রাজশাহীর পবায় অবৈধ পুকুর খননের সহায়তার অপরাধে চার জনকে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার দারুশার কর্ণহার ও তেতুলিয়া গ্রামের মাঠে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

সাজাপ্রাপ্তরা হলো, গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে সাকিম (২৩), মুল্লাপাড়া রাজশাহী কোর্ট এলাকার এবাদুল হকের ছেলে নাজিমউদ্দিন (৩৪), পবা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আমিনুদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম পারভেজ (২৮) ও কর্ণহার থানা এলাকার বারইপাতা গ্রামের সইবুল ইসলামের ছেলে আসাদুল ইসলাম। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন পবা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ।

কয়েক বছর থেকেই রাজশাহীর পবা উপজেলায় জোরেশোরে শুরু হয়েছে অবৈধ পুকুর খনন। জেলার অন্যসব উপজেলার মত পবা উপজেলার পুরো এলাকাজুড়ে চলছে পুকুর খননের হিড়িক। প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও থামানো যাচ্ছে না পুকুর খননের কাজ। অভিযোগ উঠেছে আরএমপি পবা থানা, কর্ণহার, মতিহার, চন্দ্রিমা থানা পুলিশ মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে পুকুর খননে সহায়তা করে চলেছেন। আবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান না থাকায় কয়েকদিনেই আবারো পুরোদমে চলছে খননের কাজ।

পবা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এর মধ্যে হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমি পুকুর হয়েছে। পানি শুকানোর পর থেকেই আবারো শুরু হয়েছে পুকুরখনন। একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক লেবাসে ও স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তিন ফসলি ধানি জমিকে পুকুরে রুপান্তর করছে। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা বরং অভিযোগকারিদের নানানভাবে হুমকি দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। এভাবে পুকুর খনন অব্যাহত থাকলে পরিবেশের উপর মারাত্মকভাবে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

সরোজমিন ঘুরে দেখা যায়, পবার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের বড়বিল, পারিলা ইউনিয়নের দিঘীর পারিলা গ্রামে চলছে পুকুরখননের হিড়িক। কয়েকজন মিলে প্রায় ৩০০ বিঘা জমি নিয়ে চলছে এই খনন। দিনরাত সাতটি এক্সকেভেটর দিয়ে চলছে খননের কাজ।

এ বিষয়ে পবা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ জানান, পুকুর খনন বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। তবে সামাজিক সচেতনতা খুবই দরকার। কয়েকদিনের মধ্যেই এই উপজেলায় পুকুর খনন বন্ধ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Bootstrap Image Preview