Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অন্ধ হয়েও প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়েছেন তিনি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১০:০৩ AM
আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৪৭ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


জাপানের মিৎসুহিরো ইওয়ামোতো নামের একজন অন্ধ নাবিক একটানা নৌযান চালিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়েছেন। এটিই প্রথম কোনো দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তির প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেয়া।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেন ইওয়ামোতো। প্রায় দুই মাস সমুদ্রভ্রমণ শেষে গতকাল শনিবার সকালে জাপানের ফুকুশিমা বন্দরে পৌঁছান।

জানা যায়, ৫২ বছর বয়সী মিৎসুহিরো ইওয়ামোটো একটি সাইটেড ন্যাভিগেটর দেখতে পান-এমন একজন দিক নির্দেশনাকারী সহযোগীর সাহায্যে ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দেন। আর এজন্য তার সময় লাগে পুরো দুই মাস। এই দুই মাসের পুরোটা সময় সমুদ্রেই ছিলেন ইওয়ামোটো। কোথাও এক রাতের জন্যও বিরতি নেননি। এই দীর্ঘ যাত্রার পর শনিবার সকালে তার ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের ইয়ট বা পালতোলা নৌকাটি জাপানের ফুকুশিমার বন্দরে নোঙর করে।

তবে এবারই প্রথম নয়; এর আগেও এমন একটি দুঃসাহসী অভিযাত্রায় বেরিয়ে পড়েছিলেন ইওয়ামোটো। তা-ও সেটা প্রায় ছয় বছর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু সেইবার কোনো সফলতার মুখ দেখেননি তিনি। কেননা তার নৌকাটি মাঝপথে হাঙরের হামলার মুখে পড়ে আর তাতে তার নৌকাটির ডুবে যেতে শুরু করে। পরে তাকে জাপানের সেনা সদস্যরা উদ্ধার করে।

ইয়াকি বন্দরে তার নৌকাটি ভিড়লে স্থানীয় গণমাধ্যম কোদোয়ো নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার এতদিনের চ্যালেঞ্জটি দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় সফল হওয়াটা যেন স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই ব্যাপার। এখন আমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারান ইওয়ামোতো। তিনি পৃথিবীর প্রথম কোনো অন্ধ ব্যক্তি যিনি কোনো বিরতি ছাড়া পুরো প্রশান্ত মহাসাগর সফলতার সঙ্গে অতিক্রম করতে পেরেছেন। এমনটি জানিয়েছে জাপান ব্লাইন্ড সেইলিং অ্যাসোসিয়েশন।

এর আগে তিনি ট্রায়াথলন খেলাতেও অংশ নিয়েছিলেন। এই খেলাতে অ্যাথলেটকে একনাগাড়ে তিন ধরনের রেইস করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয়। এখানে মূলত তিন ধরনের অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেগুলো হলো দৌড়, সাঁতার, সাইক্লিং। এমন কঠিন একটি খেলায় অংশ নেয়ার পর এবার তিনি জয় করলেন সমুদ্র।

এই বিষয়ে ইওয়ামোটো তার ওয়েবসাইটে লিখেছেন, আমার এই যাত্রাটি কেবল ব্যক্তিগত অর্জনের জন্যই করিনি, বরং এর মাধ্যমে আমি একটি বার্তা দিয়েছি যে মানুষ যখন একত্রিত হয় তখন সব কিছুই সম্ভব হতে পারে।

তিনি এবং স্মিথ মূলত একটি দাতব্য সংস্থার অর্থ উপার্জনের জন্য এবং অন্ধত্ব সৃষ্টিকারী রোগ প্রতিরোধের প্রচেষ্টায় এই সমুদ্র যাত্রা করেছেন।

Bootstrap Image Preview