Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঠাকুরগাঁওয়ে শূন্যে ঘুরলেন বিস্ময়কর এক নারী!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩২ PM
আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পিঠে বড়শি গেঁথে শূন্যে ঘুরালেন এক বিস্ময়কর নারীকে। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে ৪২ বছর বয়সী রিতা রাণী দাশকে সুউচ্চ শিমুল গাছে দড়ি ঝুলিতে চড়কি শূন্যে ঘোরানো হয়েছে।

এ সময় ঢাকঢোলের বাজনা ও পূজা অচর্না করে পূজারিরা। আর দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এ দৃশ্য দেখত সব ধর্মের হাজারো মানুষ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার জনগাঁও গুচ্ছ গ্রাম এলাকায় চড়ক উৎসবকে কেন্দ্র করে এ আয়োজন করা হয়।

উৎসব কমিটির সভাপতি আশীষ বর্মা বলেন, প্রতিবছর চৈত্র শেষে বৈশাখের শুরুতে এ আয়োজন করেন তারা। অন্য বছরে পুরুষ দিয়ে শূন্যে ঘুরানো হয়।

তবে তিনি বলেন বিষয়টি অমানবিক! কিন্তু মানুষ যে অসাধ্যকে সাধন করতে পারে তা সদৃশ্য করতে এই আয়োজন তাদের।

বিস্ময়কর নারী রিতা রাণী দাশ বলেন, অসাধ্যকে তিনি সাধন করেছেন বাবার উৎসাহে। এই কর্মে ভয় ও কষ্ট দুই জয় করতে পেরে তিনি গর্বিত।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে তার এই যাত্রা শুরু হয়। তার বাবা ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়ের এটা একধরনের নেশা এবং পড়ে এটা পেশায় পরিণত হয়।

ষাটোর্ধ্ব বয়সী ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় জানান, প্রতি বছর চৈত্রসংক্রান্তিতে এ দুঃসাহসী খেলা দেখিয়ে তিনি ৩৫-৪০ হাজার টাকা আয় করেন। পরে অন্য কাজে জড়িয়ে পড়েন। এভাবে চলে তাদের জীবন সংসার।

রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায় বলেন, হিন্দুধর্মে চড়ক পূজা বিষয়ে তেমন বাধ্যবাধকতা নেই। এটি অমানবিক।

তিনি আরও বলেন, ১৪৮৫ সালে সুদবানন্দ ঠাকুর নামে এক রাজা এই পূজা শুরু করেন। তবে ব্রিটিশ সরকার তা নিষিদ্ধ করেন। এর কারণ এটি নির্মম ও নির্দয়।

সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এক নারী সোনালী হেমব্রন বলেন, কথিত পূজার নামে মানুষ নিয়ে চলছে প্রভাবশালীদের আনন্দযজ্ঞ।

Bootstrap Image Preview