Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অবৈধ যানবাহনে সয়লাব গোলাপগঞ্জ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

মিনহাজ খান, গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:০৩ PM
আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:০৩ PM

bdmorning Image Preview


সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক, রিকশা ও টলি (কুত্তা গাড়ি) কারণে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারছে না স্কুল-কলেজের ছাত্র/ছাত্রী ও জনসাধারণ। সড়কগুলোতে প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেগে থাকে অসহনীয় যানজট। অনেক সময় স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে পৌছতে পারে না। তবে এ নিয়ে গোলাপগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের মাথা ব্যাথা নেই। প্রতিনিয়ত এমন যানজটে নাকাল গোলাপগঞ্জবাসী।

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যানজটের ভিন্ন ভিন্ন কারণ জানা গেল। গোলাপগঞ্জ বাজারের প্রাণকেন্দ্র খ্যাত বাসষ্টেশন/সিএনজি ষ্টেশন ও ঢাকাদক্ষিণ বাজারের লঞ্চঘরের ভাদেশ্বর, গোলাপগঞ্জ ও সুনামপুর সিএনজি স্যান্ডের যানজটের অন্যতম কারণ হলো ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও টমটম (কুত্তা গাড়ি)। গোলাপগঞ্জে কতগুলো ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক, রিকশা ও টলি (কুত্তা গাড়ি) চলাচল করে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরে। তবে উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ব্যাটারি চালিত রিকশা ও টলি (কুত্তাগাড়ি) সংখ্যা কয়েক হাজারেরও বেশি বলে জানা গেছে। আর ব্যাটারিচালিত রিকশার আনুমানিক সংখ্যা নেই কারো কাছে। প্রতিদিনই বাড়ছে এসব ও টলি (কুত্তা গাড়ি) সংখ্যা।

সূত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা ও নিকটবর্তী কোন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যাটারিচালিত অটোবাইকের লাইসেন্স দেয়া হয়নি। আর সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু লোকজন আড়াঁলে শত শত ইজিবাইক আমদানী করে এবং তা চালকদের কাছে ভাড়ায় চালানোর সুযোগ করে দিয়ে অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিল করছে। এছাড়াও স্থানীয় কিছু লোকজন দেশীয় পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে শুরু করে ইজিবাইক তৈরি ও টলি (কুত্তা গাড়ি) বাজারজাতকরন করছে। এতে করে প্রয়োজনের অধিক ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক, রিকশা ও টলি (কুত্তা গাড়ি)  সড়কগুলোতে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে যানজট।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক, রিকশা ও টলি (কুত্তা গাড়ি) চালকরা ফুরফুরে মেজাজে জানান, পুলিশসাহেবরা নাম্বারবিহীন সিএনজিতে নিয়মিত মাসিক চাঁদা তোলা নিয়ে এক ধরনের বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় আমাদের প্রতি নজর নেই, এতে আমরা মহাখুশি। আবার আমরা একজন মানুষ হিসেবে খুব খারাপ লাগে যে, প্রশিক্ষণ ছাড়া এসব গাড়ির অনেকে ড্রাইভার হয়ে নিয়মত দুর্ঘটনা ঘটচ্ছে। আর অকালে অনেক লোক মৃত্যুবরণ থেকে পঙ্গুঁত বরণ করছে।

উপজেলা একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানান, উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটিতে বারবার অনুরোধ করেও কোন ফায়দা হয়নি। আশা করি এবার উপজেলা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী সাহেবকে বলে একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির মোটর বেহিকেল অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক, রিকশা ও টলি (কুত্তা গাড়ি)  কোন বাহনের আওতায় পড় না। তবে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটিতে প্রস্তাবের কথা স্বীকার করে বলেন, সে সময় জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে শ্রীঘই এ ব্যাপারে প্রয়োজন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার (তদন্ত) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কান্ত নাথ বলেন, আমরদের ট্রাফিক দায়িত্ব থাকা সময় এ ধরনের ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক, রিকশা ও টলি (কুত্তা গাড়ি) জরিমানা ও জব্দ করছে। তবে এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি-বাজার ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মিলে চেষ্টা করলে শ্রীঘই এসব বন্ধ হয়ে যাবে।

Bootstrap Image Preview