অধিনায়কত্বের সম্পূর্ণ দাবিদার। সে আশা জলে ভেসে যাওয়ায়, হয়তো অভিমানেই বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দল থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। হতাশা চেপে না রেখে, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পাঠানো বার্তায় মালিঙ্গা তাঁর উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেছেন বলেই খবর।
অভিজ্ঞ পেসারের এমন ইঙ্গিতকে ঘিরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে, শেষ একদিনের ম্যাচ খেলা দিমুথ করুণারত্নেকে, ইংল্যান্ডগামী দলের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের মধ্যে মেরুকরণ স্পষ্ট হয়েছে বলেও খবর।
অন্যদিকে, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন ওয়ানডে না খেললেও, গত মাসে দিমুথ করুণারত্নের অধিনায়কত্বেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাদের মাঠে, টেস্ট সিরিজ জেতে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু একদিনের সিরিজে লাসিথ মালিঙ্গার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় রীতিমতো ল্যাজে-গোবরে অবস্থা হয় মুরলিধরন, সনৎ জয়সূর্যের দেশের ক্রিকেটারদের। তাই করুণারত্নেকে একটি সুযোগ দেওয়া উচিত এবং দলগত সংহতির স্বার্থে মালিঙ্গার সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া উচিত বলেই মনে করেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট সমর্থকদের একাংশ।
যদিও শ্রীলঙ্কার পেস ব্যাটারি বিষয়টি সহজে মেনে নেবেন বলে মনে হয় না। সূত্রের খবর, বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর শ্রীলঙ্কার মুখ্য নির্বাচকের সঙ্গে কথা হয় অভিজ্ঞ এই ফাস্ট বোলারের। তারপরেই তিনি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা পাঠান।
সেখানে তিনি লেখেন, মাঠে হয়তো আমাদের আর কখনও দেখা হবে না। এতদিন ধরে আমার পাশে যারা ছিলেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। সবার জন্য শুভকামনা রইল। মালিঙ্গার এমন মেসেজ-এর স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে শোরগোল পড়েছে। তা হলে কি অবসর নিচ্ছেন মালিঙ্গা? বিশ্বকাপের আগেই কি সেটা ঘোষণা করে দেবেন তিনি? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।