ভোলায় জ্বীন তাড়ানোর নামে গায়ে কেরোসিন লাগিয়ে আগুন দেয়ায় জোসনা বেগম নামের এক গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। ওই গৃহবধুর শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে জ্বীন তাড়ানোর নামে গৃহবধু জোসনা বেগমের গায়ে কেরসিন মেখে ঝাড়-ফুক করে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই এলাকার শিশু কবিরাজ রুনা বেগম।
জোসনা বেগম সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘার হাওলা গ্রামের প্রবাসী জসিমের স্ত্রী।
এ ঘটনায় শিশু কবিরাজ রুনার বেগমের নানা বেলায়েত হোসেন ও তার স্ত্রী অহিদা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
অগ্নিদগ্ধ জোসনা বেগমের মা মাহফুজা অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন ধরে তার মেয়ে জোসনা বেগম (৪৫) অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। এটাকে জ্বীনের আছর মনে করে তারা পাশ্ববর্তী গ্রামের কবিরাজ বেলায়েত হোসেন ও তার নাতনি শিশু কবিরাজ খ্যাত ১৩ বছর বয়সী রুনা বেগমকে দেখায়।
বৃহস্পতিবার রাতে শিশু কবিরাজ রুনা বেগম জোসনা বেগমের গায়ে কেরোসিন মেখে আগরবাতি ও ধূপ জ্বালিয়ে ঝাড় ফুকের এক পর্যায়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। জোসনা বেগমের আর্তচিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে রাতেই তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। পরে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার বিকালে অভিযান চালিয়ে কবিরাজ বেলায়েত হোসেন ও তার স্ত্রী অহিদা বেগমকে আটক করে।
এ বিষয় ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এবং এর সাথে জড়িত বাকীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।