২০১৮ সালের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করা হয়। এরপর কেটে গেছে সাড়ে ৮ মাস। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন শোভন ও রাব্বানী।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সাক্ষাৎ শেষে সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গণমাধ্যমকে জানান, আগামী রবিবারের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। এর মধ্যে রাজধানীর তিন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণকে ৩ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া দিতে বলা হয়েছে।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১১(খ) ও (গ) ধারা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ কার্যকাল দুই বছর। গঠনতন্ত্রে জেলা ইউনিটগুলোর মেয়াদ রাখা এক বছর। কিন্তু সম্মেলনের পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি কেন্দ্রীয় কমিটি।
এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কমিটি গঠনে নতুন সময়ের কথা জানাল ছাত্রলীগ। গোলাম রাব্বানী বলেন, ২১ তারিখের মধ্যে কমিটি প্রস্তুত করে আমরা আপার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে জমা দেব। সেদিনই কমিটি ঘোষণা হবে, যদি আপা অনুমোদন করেন।