Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

টাঙ্গাইলে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষিত পাকিস্তানি স্কুলছাত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:১২ PM
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:১২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে পাকিস্তানি এক কিশোরী অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত বুধবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে ঘটনার প্রধান আসামির মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার ওই নারীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহিষাকান্দির এক বাসা থেকে বন্দিদশা থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, ভিসা নিয়ে মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে প্রথমে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির সুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক ও স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি প্রায় ২৫ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচিতে গিয়ে বিয়ে করে বসবাস শুরু করেন। এরপর সেখানেই মারা যান।

পাঁচ মাস আগে ওই নারী ছয় মাসের ভিসা ও কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওঠেন উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে। সেখানে ওঠার পর থেকেই আরেক ভাসুর আবুল হোসেনের বখাটে ছেলে আল-আমিন ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করতে থাকে। বেশ কয়েকবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেও সে। তবে সে সময় পারিবারিকভাবে বিষয়টির ফয়সালার চেষ্টাও হয়।

তবে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসার খবর পেয়ে বখাটে আল-আমিন ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। গত ১৬ এপ্রিল রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে চাচার বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

কিশোরীর মা জানান, তিনি ও তার মেয়ে ঠিকমতো বাংলা বলতে পারেন না। শখ করে বাবার দেশ দেখতে এসে নিজের পরিজনের হাতেই সর্বনাশের শিকার হলো তার কিশোরীকন্যা। নির্যাতনে কন্যাটি মুষড়ে পরেছে। তিনি এ ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোপালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসলাম উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তারা বাংলা বলতে না পারায় এবং দোভাষী না পাওয়ায় বেশ সমস্যা হচ্ছে।

ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষকের মাকে গ্রেফতার ও অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ধর্ষক আল-আমিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Bootstrap Image Preview