Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশে বেড়াতে এসে ধর্ষিত হলো পাকিস্তানি কিশোরী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৪৩ AM
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৪৩ AM

bdmorning Image Preview


মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে প্রথমে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক পাকিস্তানি কিশোরী (১৭)। ঘটনাটি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হলেও কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি গ্রামে। সেখানে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ওই কিশোরীকে জামালপুরের মহিষাকান্দি গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কিশোরীর চাচাতো ভাই আল আমীন (১৯) ও তার মা আনোয়ারা বেগম (৪৭) ও আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গোপালপুর থানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরীর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামতসহ প্রতিবেদন দিতে সময় লাগবে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত নভেম্বর মাসে ছয় মাসের ভিসা নিয়ে মায়ের সঙ্গে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক এবং সেখানকার ছাত্রী ওই কিশোরী বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। টাঙ্গাইলের গোপালপুরে চাচার বাড়িতে তারা পাঁচ মাস ধরে অবস্থান করছিল। বুধবার রাতে সেখান থেকেই অপহরণের শিকার হয় সে। পরে অপহরণকারীরা তাকে ধর্ষণ করে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের এক বাসিন্দা প্রায় ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের একটি মেয়ে সন্তান হয়। করাচীতে তার একটি গার্মেন্টস ব্যবসা রয়েছে। গত পাঁচ বছর আগে কিশোরীর বাবা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

গত বছরের নভেম্বর মাসে তার স্ত্রী মেয়েকে সঙ্গে করে বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। উত্তর গোপালপুর গ্রামে তার ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে ওঠেন তিনি। কিছুদিন পর থেকেই ওয়াদুদের ছেলে আল আমীন ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করতে শুরু করে। পারিবারিকভাবে বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টাও করা হয়।

এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ওই নারী ও তার মেয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। এ কথা জানার পর আল আমীন ক্ষুব্ধ হন। গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যান তিনি। পরে জামালপুরে একটি বাড়িতে আটকে রেখে দফায় দফায় ধর্ষণ করেন কিশোরীকে।

ঘটনা জানার পর গতকাল বুধবার রাতে কিশোরীরর মা আল আমীন ও তার মাসহ তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি গ্রামের একটি বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আল আমীনের মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, মেয়েটিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি গ্রামের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। আল আমীনের মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটি উর্দূতে কথা বলায় তার জন্য আদালতের কাছে দোভাষী চাওয়া হয়েছে। তার বয়ান ২২ ধারায় রেকর্ড করা হবে।

Bootstrap Image Preview