Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিউজিল্যান্ড দূতাবাসের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা, ভিডিও করতে গিয়ে ধরা কর্মকর্তা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩৭ PM
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত নিউজিল্যান্ড দূতাবাসের বাথরুমে ক্যামেরা বসিয়ে গোপনে নারী-পুরুষের ভিডিও ধারণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন দেশটির শীর্ষ এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা। ওয়াশিংটন ডিসির এক আদালত বৃহস্পতিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। নিউজিল্যান্ড দূতাবাসের ওই বাথরুম নারী-পুরুষ উভয়ই ব্যবহার করতো।

অভিযুক্ত কিউই ওই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার নাম আলফ্রেড কিটিং (৫৯)। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে দূতাবাসের বাথরুমে একটি গোপন ক্যামেরার খোঁজ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

তবে নিউজিল্যান্ডের এই কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে আনা গোপনে অন্তরঙ্গ দৃশ্য ধারণ চেষ্টার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু ওয়াশিংটনের হাই-কোর্ট দুই সপ্তাহের শুনানি শেষে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

বাথরুমের পানি গরম করার মেশিনের ভেতরে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছিলেন তিনি। তবে ওই ক্যামেরার সামনে রাখা একটি প্যানেল সেখান থেকে মেঝেতে পড়ে যাওয়ার পর গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

ক্যামেরার কার্ড পরীক্ষায় কিটিংয়ের ডিএনএ পাওয়া গেছে বলে আদালত জানিয়েছে। এমনকি এই কার্ড তার ল্যাপটপের সঙ্গেও একবার কানেক্ট করা হয়েছিল।

আদালতের প্রসিকিউটর হেনরি স্টিলি বলেন, সহকর্মীদের টয়লেট ব্যবহারের দৃশ্য গোপনে ভিডিওতে ধারণ করাই ছিল কিটিংয়ের উদ্দেশ্য। তবে এতে গুপ্তচরবৃত্তির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

আদালতে দীর্ঘ শুনানির সময় নীরবে দাঁড়িয়েছিলেন অভিযুক্ত কিউই ওই কর্মকর্তা। আগামী ২৫ জুন তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে। বাথরুমে গোপনে ভিডিও ধারণের দায়ে ১৮ মাসের কারাদণ্ডের সাজা পেতে পারেন তিনি।

সূত্র : এএফপি।

Bootstrap Image Preview