Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সারা দেশে সাড়ে ৫ হাজার কি.মি. খাল খনন করবে সরকার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১০:০৩ PM
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১০:০৩ PM

bdmorning Image Preview


দেশের বড় বড় নদ-নদী রক্ষার পাশাপাশি ৬৪ জেলায় খাল খননেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য গৃহীত প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৫৫১ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সভাকক্ষে বিশ্ব পানি দিবস ২০১৯-এর প্রতিপাদ্য ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’-এর ওপর আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬৪ জেলার খাল খননের এই প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় আগামীতে আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে, যার আওতায় আরও ৫ হাজার কিলোমিটার খাল খনন করা হবে।

অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা’–এই স্লোগান দিয়ে যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, নদীমাতৃক সেই বাংলাদেশের নদী-খাল-বিল-হাওরগুলোকে দখলমুক্ত করতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অন্যদের সহযোগিতায় কাজ করে চলেছে। আমরা সেই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।

এনামুল হক শামীম আরও বলেন, যেখানে বাঁধ দেওয়া হয়, সেখানে ড্রেজিং বাধ্যতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুশাসন দিয়েছেন। আমরা সে মোতাবেক কাজ করছি। তিনি এ সময় নদ-নদী রক্ষায় রুটিন দায়িত্বের বাইরেও দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।

পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার জানান, বৃষ্টির পানি প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষণের জন্য আমরা খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছি। বাসযোগ্য আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাকৃতিকভাবে পানি সংরক্ষণের বিকল্প নেই। এছাড়াও নদ-নদীর ওপর স্থাপনা নির্মাণের ফলে যাতে কোনোভাবেই পানির গতিপথ পরিবর্তিত না হয় কিংবা নদ-নদীর ক্ষতি না হয় আমরা সে বিষয়ে লক্ষ রাখছি। তাই, প্রকৃতিবান্ধব ডিজাইনের ওপরও আমরা গুরুত্বারোপ করছি।

সেমিনারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানিসম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. উম্মে কুলসুম নভেরা ‘বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও চ্যালেঞ্জ এবং তা উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দফতর ও সংস্থা প্রধানরা, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এনজিও প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

Bootstrap Image Preview