Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

আবারও পেছালো প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৪৪ PM
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আবারও পেছানো হয়েছে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। চলতি এপ্রিল মাসেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের কথা ছিল। তবে জানা গেছে চলতি মাসে সেটা আর হচ্ছে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা মে মাসের মাঝামাঝি হতে পারে। কোন তারিখে হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে পরীক্ষা-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দুই একদিনের মধ্যে নেয়া হবে।

এর আগে গত মাসে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হবে, যা সারাদেশে তিন থেকে চার ধাপে সম্পন্ন হবে। তিনি আরো বলেছিলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওএমআর সিট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বুয়েটের তত্ত্বাবধানে তা তৈরি করা হয়েছে। ১৫ এপ্রিল থেকে নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ১০০টি পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছিল। এতে আবেদন জমা পড়েছে ২৪ লাখের বেশি। এত বিপুল পরিমাণ আবেদন জমা পড়ার কারণে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে কর্তৃপক্ষকে অনেক ভাবতে হচ্ছে। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে।

ডিপিই মহাপরিচালক মনজুর কাদির বলেন, ‘স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নিয়োগ পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে আমরা বুয়েটের সহায়তায় একটি আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করেছি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস, পরিদর্শক নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষার হলে পাশাপাশি বসা পরীক্ষার্থীরা যাতে একই সেট না পায় সে জন্য এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রার্থীদের প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। পরীক্ষার্থীর রোল নম্বরের ওপর প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। এবার পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শক নিয়োগের ক্ষমতা কেন্দ্র সুপারের কাছে থাকছে না। এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে অন্য প্রতিষ্ঠানে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হবে। কেন্দ্র থেকে দায়িত্ব পাওয়া পরিদর্শকদের শুধু দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন কেন্দ্র সুপার।

Bootstrap Image Preview