Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হঠাৎ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষুক খুঁজছেন ইউএনও

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৩৩ PM
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৩৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ও ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করতে তাদের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন ইউএনও মো. তৌহিদুর রহমান।

ভিক্ষাবৃত্তি করা কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিরামপুর গ্রামের মিরবালার (৭০) সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান,স্বামী মারা যাওয়ার পর পেটের দায়ে তিনি ভিক্ষা করেন দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে। তার এক ছেলে উজ্জ্বল রায় নিজের সংসার নিয়ে আলাদা থাকে। ছেলে ভাঙা একটি ঘরে থাকলেও শুতে হয় মাটিতে। পরে ইউএনও তাকেও একটি ঘর আর ছেলে উজ্জ্বল রায়কে একটি ভ্যানগাড়ি দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

এ সময় ইউএনও সঙ্গে ছিলেন-উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন নাহার, ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমন্ময়কারী উপজেলা কো-অর্ডিনেটর বিদ্যুৎ কুমার মণ্ডল,ফিল্ড সুপারভাইজার ধনঞ্জয় চন্দ্র রায়,মাঠ সহকারী সুদেব চন্দ্র রায়,জাকস ফাউন্ডেশন কাটলা শাখার ম্যানেজার ,কাটলা আশা অফিসের সহকারী ম্যনেজার,বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।

ইউএনও তৌহিদুর রহমান বলেন, বিরামপুরকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে তাদের পুনর্বাসনের কোনো বিকল্প নেই। তাই সরকারের পক্ষ থেকে তাদের যতটুকু সম্ভব সহায়তা করে তাদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বের করে আনতে হবে। এই কাজে সরকারের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়, সমাজের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি জানান, 'তাদের পুনর্বাসনের লক্ষে কাউকে বিধবা ভাতা, কাউকে ভিজিএফ, কাউকে ভিজিডি, আবার কাউকে ১০ টাকা কেজি চাল এবং কার্ডের আওতায় আনা হবে।'

ইউএনও বলেন, যাদের ছেলেসন্তান রয়েছে তাদের ভ্যানগাড়ি ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে। তবে এটা করতে একটু সময় লাগবে।

স্থানীয় কাটলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, ইউনিয়নের ২৯ জন ভিক্ষুক রয়েছেন। তাদের এই ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্ত করতে ইউপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।

Bootstrap Image Preview