ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সেই হাফেজ আবদুল কাদেরকে (২৬) ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত শেষ আসামি ছিলেন হাফেজ আবদুল কাদের। রাজধানীর মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকার ছাপড়া মসজিদের পাশের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পিবিআইয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গ্রেফতার আবদুল কাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার্থী রাফিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল বুধবার রাতে সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের দায়ের করা মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এদিকে, নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার পরদিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন হাফেজ আব্দুল কাদের। পালানোর পর থেকেই তিনি মিরপুরে তার এক ভাইয়ের বাসায় এতদিন লুকিয়ে ছিলেন।
কাদের সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক ও ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি অধ্যক্ষ সিরাজের অনুগত হিসেবে মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকতেন।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডে নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম তাদের স্বীকারোক্তিতে আবদুল কাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার দিন হাফেজ আবদুল কাদের গেট পাহারার দায়িত্বে ছিল এবং ঘটনার আগের দিন ৫ এপ্রিল খুনের পরিকল্পনার বৈঠকে ছিল মানিক। গ্রেফতারকৃত আসামিরা তার হোস্টেলে বৈঠক হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
৭ এপ্রিল মালামাল নিয়ে হোস্টেল ত্যাগ করে হাফেজ আবদুল কাদের। পরদিন ৮ এপ্রিল তার গ্রামের বাড়িতে ছিল। মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরের খবর জানতে পেরে বাড়ি ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যায় আবদুল কাদের মানিক।
১২ এপ্রিল ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পর আবদুল কাদেরের নাম আসায় ওই দিন বিকালেই বসতঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান আবদুল কাদেরের বাবা-মা ও পরিবারের সব সদস্যরা।