ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির ভিন্ন ভিন্ন দেশে অবস্থান হলেও বাঙালি কখনও তার নিজস্ব কৃষ্টি কালচার ভুলে যায় না। সব সময় একে অপরের সাথে সুখে-দু:খে মিলে মিশে থাকে। মিলিত হয় মিলনমেলায়। এমনই এক সন্ধ্যায় বাংলাদেশের ভৈরবের লন্ডন প্রবাসী অধিবাসীরা মিলিত হয়েছিল রেডব্রিজ টাউন হলে।
সপ্তাহের শেষ দিন রবিবারে অনুষ্ঠিত ভৈরব মিলনমেলার জাঁক-জমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানের প্রথমে কোরআন তেলওয়াত করে ফাহিম আহমেদ।
স্কুলে পড়ুয়া অর্ধশতাধিক কোমলমতি বাচ্চাদের সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। কামরুজ্জামান সাফির স্বগত বক্তব্যে উঠে আসে ভৈরববাসীর মিলনমেলার উদ্দেশ্য। ভৈরব বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি নদী বন্দর ও বানিজ্যক শহর।
তবে ব্যবসায়িক কোন উদ্দেশ্যে এই মিলন মেলা নয়। সবার সাথে মিলে থাকা ও লন্ডনে বসবাস করা ছেলেমেয়েদের পড়াশনায় আরো উতসাহিত করাই এর মূল লক্ষ। এদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত এরকম ৬৯ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মননা জানানো হয়। সেই সাথে আরো ৫০ জন ভৈরব প্রবাসী মুরব্বিকেও এই মিলনমেলার পক্ষথেকে ক্রেস্ট উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জনানো হয়।
রাখা হয় বাচ্ছাদের জন্য চিত্রাংঙ্কন প্রতিযোগিতা। ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু শিশোরদের চারটি গ্রুপে ভাগ করে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। প্রতিটি গ্রুপে একজন গ্রুপ লিডারের অধীনে এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। ৯০ জন শিশু-কিশোরের মধ্যে থেকে ৪টি গ্রুপে ৩জন করে মোট ১২জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে অংশগ্রহণকারী সবাইকেই শান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রতিটি গ্রুপে টিম লিডার হিসাবে সহযোগিতা করেন তানিয়া রহমান, নুসরাত জামান, শাহনাজ আনোয়ার, সাপিয়া হোসাইন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে আয়োজন করা হয় এক মজার প্রতিযোগিতামূলক খেলার। কুইজের মাধ্যমে বাছায় করা ১০ জন প্রতিযোগিকে নিয়ে মজার খেলার শেষ ধাপে ৩জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানটির ভিন্ন ভিন্ন ধাপে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কবির আহমেদ, নাজির আজহার, আল আমিন, রনি, সাদিয়া ইসলাম, মেহেদী হাসান ও ইসতিয়াক চৌধুরী মান্না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানটিকে সাফল্য মণ্ডিত করতে সহযোগিতা করেছেন আনিসুজ্জামান ছোট, আল আমিন সরকার, তারেক আহমেদ, নাদিবুর রহমান, আরমান, জালাল উদ্দিন, শাহ্ হোসেন, কামরুল, কাজী মানিক, আঙ্গুর মিয়া, তুহিন চৌধুরী, মোবারক হোসেন, রিপন, মাহিন মিয়া, মো: মনিরুজ্জামান ও আতাউর রহমান খোকন সহ আরো অনেকে।
পরিশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেলোয়ার হোসেন দেলু, লাবনী বড়ুয়া ও মনির লেলিন।