অনেকেই মনে করেন ওজন কমানো মানেই প্রচণ্ড কায়িক পরিশ্রম এবং কঠোর ডায়েট। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। ওজন কমাতে গেলে শারীরিক কসরত এবং সঠিক ডায়েট দু’য়েরই প্রয়োজন রয়েছে।
সহজে ওজন কমাতে চাইলে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখুন।
ওজন কমাতে চাইলে কোনও ফিটনেস ক্লাস জয়েন করুন। বাড়িতে একা একা যোগব্যায়াম কারার চেয়ে সকলের সঙ্গে মিলে এক্সারসাইজ় করা অনেক বেশি উপভোগ্য। তাছাড়া সম মানসিকতার মানুষদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে তা মোটিভেশন ধরে রাখতেও সাহায্য করে।
ফিটনেস ক্লাসে যোগদান করলেও নিজের শরীর বুঝে চলুন। যেখানে বুঝবেন অসুবিধা হচ্ছে সেখানে থেমে যান। মনে রাখবেন এখানে আপনি কারও সঙ্গে কম্পিটিশন করতে আসেননি। আপনার কম্পিটিশন একমাত্র আপনার সঙ্গে।
নিজের লক্ষ্য স্থির করুন। কিন্তু তা যেন বাস্তবতা বিবর্জিত না হয়। একমাসে ১৫ কেজি কমানোর কথা না ভেবে এমন একটা রুটিন বেছে নিন যেখানে এক্সারসাইজ় এবং ডায়েটের যুগলবন্দিতে আপনার ওজন কমার পাশাপাশি শরীর টোনড হবে ও পেশির শক্তি বাড়বে।
যে ধরণের এক্সারসাইজ়ই করুন না কেন পেটের মাসল শক্তিশালী করার উপর জোর দিন। শরীরের মধ্যভাগ শক্তিশালী হলে তা শরীরের সামগ্রিক জোর বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে অন্যান্য এক্সারসাইজ় করা অনেক সহজ হয়ে যায়। পাশাপাশি ওজন নিয়ে এক্সারসাইজ় করার চেষ্টা করুন। এতে পেশি দ্রুত শক্তিশালী হবে।
প্রতিদিন নিয়ম করে এক্সারসাইজ় করার পাশাপাশি বাড়িতে বা অফিসে অ্যাকটিভ থাকার চেষ্টা করুন। সিঁড়ি ব্যবহার করুন। ঘরের কাজ করুন। ফোনে কথা বলার সময় বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন।
এক্সারসাইজ় করার সময় সঠিক পশ্চার ধরে রাখার চেষ্টা করুন। পশ্চারে ভুল থেকে গেলে ব্যায়ামের উপকার তো পাবেনই না অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শুধু এক্সারসাইজ়ের সময়ই নয়, হাঁটা, দাঁড়ানো বা বসার সময়ও শিড়দাঁড়া সোজা রাখুন। কাজ করার সময় খুব ঝুঁকে না বসে ঘাড় সোজা রাখার চেষ্টা করুন। রোজ একই ধরণের এক্সারসাইজ় করবেন না। ঘুরিয়েফিরিয়ে সব ধরণের মাসলের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
এক্সারসাইজ়ের পাশাপাশি ডায়েটের দিকে নজর দিন। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস সাথে রাখুন। সারাদিনের খাবার ছোট ছোট মিলে ভাগ করে নিন। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না।
এই প্রসঙ্গে আরপিএইচ (রেট অফ পারসিভড হাঙ্গার) স্কেলের কথা মাথায় রাখুন। মনে করুন ১ থেকে ১০ এর স্কেলে ০ মানে প্রচণ্ড খিদে এবং ১০ মানে অতিরিক্ত খেয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। সবসময় চেষ্টা করুন নিজেকে ৩-৮ এর মধ্যে রাখতে। স্কেলের মান ৩ হলেই কোনও স্ন্যাক্স খেয়ে নিন।