Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাতে স্টেশনেই মাস্টারকে নিয়ে ইয়াবা সেবন করতো যুবলীগ নেতা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:০৪ PM
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:০৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ভানুগাছ রেলস্টেশন মাস্টারের ইয়াবা সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

গত ১২ এপ্রিল রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারি দলের নেতার মাদক সেবনের দৃশ্য জেলায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

ভাইরাল হওয়া ছবির একজন কমলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শায়েক আহমেদ এবং অন্য জন ভানুগাছ রেলস্টেশনের মাস্টার সাহাবুদ্দীন ফকির। এই দুইজনসহ আরও কয়েকজন মিলে প্রায় রাতে রেলস্টেশনে ইয়াবা সেবন করে আসছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তাদের সঙ্গে থাকা অন্য কোনো এক মাদকসেবী ছবিটি তুলে এবং সেটি ফেসবুকে আপলোড করে। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। তবে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মাদক গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে দাবি করেছেন ছবিটি পুরাতন এবং ছবির গায়ে যে তারিখ রয়েছে তা গত বছরের ২১ অক্টোবরের। সেই তারিখটি এডিট করা কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনার জন্ম দিলে স্থানীয় যুবলীগ পরদিন ১৩ এপ্রিল বিকেলে জরুরি বৈঠকে বসে এবং ইয়াবা সেবনকারীকে তাদের দায়িত্বশীল নেতা স্বীকার করে একজন জানায়, অভিযোগ আমলে নিয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।

এদিকে স্টেশনের অফিসে বসে মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ১৪ এপ্রিল ভোররাতে কর্মস্থল ভানুগাছ স্টেশন ফেলে গা ঢাকা দিয়েছেন স্টেশন মাস্টার সাহাবুদ্দীন ফকির।

স্থানীয়রা জানান, আটকের ভয়ে তিনি তার ব্যবহৃত গ্রামীণ নম্বর বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন। স্টেশন এলাকার লোকজন জানান, স্টেশন মাস্টার সাহাবুদ্দীন ফকির গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় তিনি নিজেকে গোপালগঞ্জের ছেলে পরিচয় দিয়ে এ স্টেশনে যোগদানের পর প্রভাব দেখাতেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

তবে ভাইরাল হওয়া ছবির একজন যুবলীগ নেতা শায়েক আহমদ নিজের ইয়াবা সেবনের ছবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছবিটি দুই বছর আগের। কেউ হয়তো শত্রুতা করে ছবিটি ফেসবুকে ছেড়েছে।

কমলগঞ্জ যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র জুয়েল আহমদ জানান, শায়েক আহমদ যুবলীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বিষয়টি জানার পর জেলা যুবলীগের পরামর্শে একটি তদন্ত কমিঠি গঠন করা হয়েছে। তারা নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন পাবার অপেক্ষায় আছি আমরা ।

কমলগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, ছবিটি অনেক পুরাতন। তবে বর্তমানে এমন কিছু ঘটে থাকলে পুলিশ ব্যবস্থা নিত।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানা পুলিশের এসআই ইসমাইল হোসেন জানান, ঘটনাটি সব দিকে ছড়িয়ে পড়লে আমরাও খোঁজ নেই। শুনেছি তিনি (স্টেশন মাস্টার) স্টেশনে নেই। তার পরিবারের কেউ রেলওয়ের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

Bootstrap Image Preview