Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

তথ্যপ্রযুক্তির কোন ভৌগলিক সীমারেখা নেই: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০১:১১ PM
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০১:১১ PM

bdmorning Image Preview


তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির কোন ভৌগলিক সীমারেখা নেই। আগামী দিনের পরিবর্তিত ও আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হলে উন্নত ও অনুন্নত দেশসমূহসহ সকলকে সম্মলিতভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি সোমবার বাহরাইনের রাজধানী মানামায় অনুষ্ঠিত “গ্লোবাল এন্টারপ্রেইনিয়রশিপ কংগ্রেস” বাহরাইন ২০১৯ সম্মেলনের “স্টার্টআপ নেশনস্‌ মিনিস্ট্রিরিয়াল” শীর্ষক অধিবেশনে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন।

পলিসি সেশন আলোচনায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী উদ্ভাবন পরিকল্পনা, উদ্যোক্তা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, হাই-টেক পার্ক প্রকল্প ও ইনোভেশন সেন্টার প্রকল্প স্থাপন, আইটি প্রশিক্ষণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তরুণ প্রজন্মের সক্ষমতা অর্জন এবং তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন ও বিকাশে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অর্জন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।

ডিজিটাল বিপ্লবে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছেন। এই রূপকল্প বাস্তবায়নে চারটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সেই চারটি পিলার হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টানেটের সংযোগ দেয়া, ই-গভর্নেন্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা। এই চারটি পিলারে বাংলাদেশকে দাঁড় করানো হচ্ছে’।

পলক বলেন, সবাইকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে বিগত দশ বছরে সরকার অনেকগুলো উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন করেছে। বিগত ৩ বছরে সকল সরকারি অফিসকে ইন্ট্রা-নেটওয়ার্ক এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং বর্তমানে ইনফো সরকার-৩ ও কানেকটেড বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারাদেশকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে।

‘থ্রি এ স্ট্র্যাটেজি রয়েছে ইন্টারনেটের জন্য। ইন্টারনেট যেহেতু ফুলফিলমেন্ট অব দ্যা সোসাইটি হবে তাই এটির অ্যাভেইলেবল, অ্যাফোর্টেবিলিটি ও অ্যাওয়ারনেস নিয়ে কাজ করা হচ্ছে’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

২০৩০ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারের ওয়াইফাই (উইমেন আইসিটি ফ্রন্ট্রিয়ার ইনিশিয়েটিভ) প্রকল্প চালু রয়েছে।
প্যানেল আলোচনায় তিনি আরো উল্লেখ করেন, গ্রামের অনেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে ইন্টারনেট পাচ্ছে। ইনফো সরকার-৩ এর মাধ্যমে দেশের ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে। দেশের সকল ডিজিটাল সেন্টারে (ইউডিসি) বিপিও সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ইডিসিতে দুই লাখ ফিক্স ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে।

এছাড়াও লার্নিং-আর্নিং, শি পাওয়ার, এলআইসিটি, সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় প্রশিক্ষণ, আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন, এ সকল প্রকল্পের আওতায় অনেক তরুণ তরুণীর প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে দেশে তিন লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইটালি, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, আর্জেন্টিনা, বেনিন, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কংঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইস্তোনিয়া, গ্রানা, হাঙ্গেরীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকরি প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। 

Bootstrap Image Preview