দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এলাকায় তোলপাড়

বড় বোনের বাড়িতে ছেলের চিকিৎসা করাতে এসে বড় বোনাইয়ের ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই মহিলাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে পুলিশ ও ডাক্তার কেউ ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পায়নি বলে জানিয়েছেন।

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ জানান, পাবনার শ্বশুর বাড়ি থেকে যশোর শহরের বড় বোনের বাড়িতে আসেন ৫ বছরের ছেলেকে চিকিৎসা করানোর জন্য। যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও আদ্ব-দীন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ছেলেকে বোনের বাড়িতে অবস্থান করে।

সোমবার বিকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোনাই ইব্রাহিম, তার বড়ভাই কাদের এবং ইব্রাহিমের ছেলে মেয়েরা তাকে বেধড়ক মারপিট করে।

এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যার দিকে ইব্রাহিম ও তার ভাই কাদের আবারো মারপিট করে একটি ঘরে আটকে রাখে। সেই ঘরের মধ্যে ইব্রাহিম তাকে ধর্ষণ করেছে।

স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ইব্রাহিম পালিয়েছে। তার মা পুলিশকে জানালে কোতয়ালি থানার পুলিশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে।

তবে স্থানীয়রা বলেছে, ইব্রাহিম ও কাদের তাকে চড় ধাপ্পড় দিয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা তাদের জানা নেই্

কোতয়ালি থানার এসআই হায়াত মাহমুদ জানান, সংবাদ পেয়ে বারান্দীপাড়ার ইব্রাহিমের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয়রা ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে জানেন না।

যশোর জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার অভিযোগকারী মহিলার সাথে কথা বলেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা ধর্ষণের ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেনি। ধর্ষণের কোন অভিযোগটি সঠিক নয়। তারপরও ধর্ষণের অভিযোগ করায় মঙ্গলবার ধর্ষণের পরীক্ষা করানোর হবে।

থানায় এখনো কোন অভিযোগ দেয়নি বলে জানান এসআই হায়াত মাহমুদ।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার সফিউল্লাহ সবুজ জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে ধর্ষণ ও মারপিটের অভিযোগে এক মহিলাকে ভর্তি হয়েছে। তবে ধর্ষণের কোন আলামত না পাওয়ায় ‘এ্যাসল্ট’ রোগী হিসেবে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই মহিলার দাবি অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার ধর্ষণের পরীক্ষা করানো হবে আর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ওয়াহেদুজ্জামান তার ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট দেবেন। 

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনসার উদ্দিন জানান, ‘ধর্ষণের কোন ঘটনা আমার জানা নেই।’