শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে খালেদা আক্তার (২৭) নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আটক করা হয়েছে।
আটক খালেদা আক্তার চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার সাব্বির আহম্মেদ এবং নুর হাওয়ার মেয়ে। খালেদা আক্তার ছোটকালে মিয়ানমার থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আসেন এবং সেখানেই বসবাস করছেন।
শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সানোয়ারুল ইসলামকে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করতে আসেন খালেদা আক্তার। খালেদার আচরণ, চেহারা ও কথাবার্তায় সন্দেহ হয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা নিশ্চিত হওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
শরীয়তপুর পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, খালেদা আক্তার নিজের জন্য পাসপোর্ট করার উদ্দেশ্যে দালালের মাধ্যমে শরীয়তপুরে আসেন। শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরে আলমের স্ত্রী পরিচয় দেন খালেদা আক্তার। সেই সঙ্গে রাবেয়া আলম পরিচয়ে পাসপোর্ট করার চেষ্টা করেন। তবে তার সঙ্গে থাকা দালাল মো. সানোয়ারুল ইসলাম পালিয়ে যান।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পুলিশ গিয়ে খালেদা আক্তারকে আটক করে পালং মডেল থানায় নিয়ে আসে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ওসি আরও বলেন, নিজের জন্য পাসপোর্ট করার উদ্দেশ্যে কয়েকদিন আগে খালেদা শরীয়তপুরে আসেন। তার ইচ্ছা ছিল পাসপোর্ট করা সম্ভব হলে কাজের সন্ধানে বিদেশে যাবেন। এজন্য সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরে আলমের স্ত্রী পরিচয় দেন খালেদা আক্তার।