শিরোনাম দেখে চমকে যাওয়ার কথাই। নেতিবাচক কোনো ঘটনা না, সম্পূর্ণ ইতিবাচক ভাবেই সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের বাংলা বিভাগের এক অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে পুরো ক্যাম্পাসে। এমসি কলেজের তিনটি অন্যতম সংগঠন হচ্ছে মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠন, মুরারিচাঁদ কবিতা পরিষদ ও থিয়েটার মুরারিচাঁদ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই তিনটি প্রভাবশালী সংগঠনের নেতৃত্বে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। সম্প্রতি এমসি কলেজের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন ‘মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠন'র নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের কমিটি গঠন হয়েছে। এত সভাপতি পদে টিপু শিকদার, সাধারণ সম্পাদক পদে সৌরভ পাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ইমরান ইমন নির্বাচিত হয়েছেন।
তিন জনই বাংলা বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী। সভাপতি স্নাতকোত্তরে, সাধারণ সম্পাদক স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী ও সাংগঠনিক সম্পাদক স্নাতক তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে বাংলা বিভাগ অনেকাংশে এগিয়ে আছে বলে মনে করেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি মুরারিচাঁদ কবিতা পরিষদের যে নতুন কমিটি হয়েছে সেখানেও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের দখল রয়েছে। সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সজল মালাকার বাংলা বিভাগে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত রয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটির সিংহভাগ শিক্ষার্থীই বাংলা বিভাগের।
এ দিকে জানুয়ারির ২৯ তারিখ জয় বাংলা এওয়ার্ড জয়ী থিয়েটার মুরারিচাঁদের নতুন কমিটি ঘোষণা হয়েছে। থিয়েটার মুরারিচাঁদের নতুন কমিটিতে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান চোখে পড়ার মতো। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তুষার সরকারও বাংলা বিভাগে অধ্যয়রনত রয়েছেন। এছাড়া আরও বেশ ক’জন শিক্ষার্থী কমিটিতে রয়েছেন যারা বাংলা বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে আলাপ হয় বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সাহেদা আখতারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা সাহিত্য পড়ার পাশাপাশি নাটক, কবিতা, গীতি নাট্য পড়ে, এসব পাঠ সংশ্লিষ্টতার কারণে তারা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর দিকে ঝুঁকছে বেশি। আমরা একজন শিক্ষার্থীকে শুরু থেকেই অনুপ্রেরণা দেই যাতে তারা সৃজনশীল কাজে বেশি মনযোগী হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের অধ্যক্ষ নিতাই স্যার, উপাধ্যক্ষ সালেহ স্যার, শামীমা আপা, তোতিউর স্যার, রিয়াজ স্যার, তৌফিক স্যারসহ অন্যান্য শিক্ষকরা প্রতিনিয়িত অনুপ্রেরণা দেন শিক্ষার্থীদের। যার জন্য আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারছি।