Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিঙ্গাপুরে শিশু ধর্ষণের অপরাধে বাংলাদেশির ২২ বছরের জেল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩৯ PM
আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩৯ PM

bdmorning Image Preview
প্রতিকী ছবি


সিঙ্গাপুরে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে এক বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিককে ২২ বছরের জেল ও ১৮ বেত্রাঘাতের আদেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। ওই ব্যক্তি শিশুটিকে একটি পার্কে নিয়ে তিনবার ধর্ষণ করেন।

শুক্রবার দেশটির আদালত এ রায় দেন। সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম দাস রতন চন্দ্র (৪১)। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একটি ট্রেনে মেয়েটির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয় রতনের। মেয়েটি দাদা-দাদির সঙ্গে তার সৎ বোনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিল।

ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর উইস্টাইন ম্যান জানিয়েছেন, মেয়েটিকে প্রথম দেখার পর বারবার তার দিকে তাকাতে থাকেন। ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ওই মেয়ে ও তার দাদা-দাদিকে অনুসরণ করতে থাকেন। ট্রেনটি চোয়া চু ক্যাং স্টেশনে পৌঁছালে রতন একটি চিরকুটে দুটি টেলিফোন নম্বর লিখে মেয়েটির দিকে ছুড়ে মারেন। বিষয়টি তার দাদা-দাদি লক্ষ্য করেননি। টেলিফোন নম্বর পেয়ে ওইদিনই মেয়েটি রতনকে ফোন দেয়। এরপর থেকেই তারা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মেসেস আদান-প্রদান করতে থাকেন।

রতন চন্দ্র তথ্য গোপন করে মেয়েটিকে জানান, তার বয়স ২৫ বছর। অথচ ওই সময় তার বয়স ছিল ৩৮ বছর। মেয়েটি তার নিজের অল্প বয়সের কথাটি জানালেও রতন তার সঙ্গে যৌন সুড়সুড়িমূলক আলাপচারিতা চালিয়ে যান। তিনি মেজেঞ্জারে অশ্লীল ছবি পাঠাতে থাকেন এবং তাকেও তার শরীরের স্পর্শকাতর অংশের ছবি পাঠাতে প্রলুব্ধ করেন।

একপর্যায়ে মেয়েটি তার নিজের ব্যক্তিগত ছবি পাঠিয়ে দেন। ছবি পাওয়ার পর থেকেই রতন মেয়েটিকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রলুব্ধ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট তিনবার তারা শারীরিকভাবে মিলিত হন। মেয়েটির মা ফোনের ম্যাসেঞ্জার ঘেটে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং থানায় মামলা করেন। ২৬ এপ্রিল রতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণসহ রতনের বিরুদ্ধে ২২ ধরনের অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। আদালত আসামির স্বীকারোক্তি ও আইনজীবীদের শুনানি নিয়ে এ রায় ঘোষণা করেন। নিজের অপরাধ স্বীকার করে দণ্ড থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন রতন।

Bootstrap Image Preview