ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়ে দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি পাঁচদিন একটানা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। নুসরাতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দলটির দফতরের দায়িত্বে থাকা রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করেন।
এ শোক বার্তায় ফখরুল জানিয়েছেন, ‘ফেনীর সোনাগাজীতে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে যেসব পাষণ্ড কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যা করলো তাদের প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাই।
অবৈধভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনের ফলে সামাজিক অনাচারের মাত্রা সীমাহীন বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনের শাসনের ভয়াবহ অবনতি এবং দেশে ন্যায়বিচার তিরোহিত হয়েছে বলেই বর্তমানে মানুষের বেঁচে থাকার ন্যূনতম নিশ্চয়তাটুকও নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিভীষিকাময় ও দুর্নীত দুঃশাসনের এক ভয়াল রূপ গোটা দেশকেই গ্রাস করে ফেলেছে। এখন দুষ্কৃতকারীরা আইন হাতে তুলে নিয়েছে। ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে কেরোসিন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পৈশাচিক কায়দায় হত্যাচেষ্টা এবং পরবর্তীতে রাফির মৃত্যুতে সারাদেশের মানুষ শোকে-দুঃখে-ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
মায়া-মমতাহীন মানুষ নামের পশুদের দ্বারা নুসরাত জাহান রাফির মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক মৃত্যুতে দেশবাসী শোকে-দুঃখে স্তম্ভিত ও বিমূঢ় হয়ে পড়েছে। দেশবাসী আশা করে, এই অমানুষদের নজীরবিহীন শাস্তি হোক।’
এই বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি নুসরাত জাহান রাফির হৃদয়বিদারক মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি জানাই গভীর সহমর্মিতা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নুসরাত জাহান রাফিকে বেহেশত নসিব করুন- এই দোয়া করি।’