Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ক্রীতদাসীকে পানি না দিয়ে মেরে ফেললেন জার্মান নারী জঙ্গি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:০৩ PM
আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়েকে পিপাসায় মেরে ফেলার অভিযোগে জার্মান নারী জেনিফার ডব্লিউর বিচার শুরু হয়েছে।

জেনিফার অষ্টম গ্রেডে পড়ার সময় স্কুল ত্যাগ করেন এবং ২০১৩ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে তুরস্ক ও সিরিয়া হয়ে ইরাকে যান এবং আইএস-এ যোগ দেন। বর্তমানে নিজ দেশে ফিরেছেন ওই নারী। আইএস’র কথিত খিলাফতে থাকার সময় ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওই মেয়েটিকে কিনেছিলেন জেনিফারের স্বামী।

জেনিফারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, হত্যা, সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হওয়া ও অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। সাপ্তাহিক পত্রিকা ডের স্পিয়েগেল জানিয়েছে, জেনিফারের নিজেরও একটি ছোট মেয়ে রয়েছে।

জার্মান প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে জেনিফারের আইএস স্বামী একটি ইয়াজিদি মেয়ে ও তার মাকে কিনেছিলেন। তিনি তাদেরকে তাদের বাড়ির কাজ করার জন্য নিয়ে আসেন। তারা তখন আইএস দখলকৃত ইরাকের মসুল নগরীতে থাকতেন।

প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, ‘মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তোশক ভিজিয়ে দেয়। লোকটি ঘরের বাইরে মেয়েটিকে একটি চেন দিয়ে বেঁধে রাখে। প্রচন্ড গরমে ও পানি পিপাসায় মেয়েটি মারা যায়।’

প্রসিকিউটররা জানায়, ‘অভিযুক্ত তার স্বামীকে এই নির্মম কাজটি করতে বাধা দেয়নি এবং শিশুটিকে বাঁচাতে কিছুই করেনি।’

জানা যায়, এফবিআই একটি গাড়িতে আড়ি পাতা যন্ত্রের মাধ্যমে জেনিফারের অপরাধের স্বীকারোক্তি পায়। গাড়িতে সে তার কৃতকর্মের জন্য নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছিল। এরপরই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

Bootstrap Image Preview