Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ নিয়ে বাবার রিকশায় ঘরে ফিরলো রোকসানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:২৩ PM
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:২৩ PM

bdmorning Image Preview


বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দলের খেলোয়াড়রা এলাকায় ফিরেছে। আতশবাজি পুড়িয়ে, পটকা ফুটিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে এলাকাবাসী। মেয়ের হাতে ট্রফি।

অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন বিভিন্ন যানবাহনে করে। উপস্থিত শত শত মানুষ হাততালি দিয়ে তাদের অভিনন্দন জানায়।

এ সময় সবার দৃষ্টি পড়ে রোকসানার দিকে। এক বৃদ্ধের রিকশায় চড়ে বাড়ির দিকে রওনা হয় সে। পরে জানা যায়, এই রিকশাচালকই তার বাবা আব্দুল জব্বার। বয়সের ভারে ন্যুব্জ মানুষটি জীবিকার তাগিদে এখনো রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়ের হাতে ট্রফি দেখে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করেন।

আব্দুল জব্বারের বাড়ি নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের মিশ্রিপুর গ্রামে। গর্বিত এই বাবা জানান, তাঁর চার মেয়ে ও এক ছেলে। তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। রোকসানা সবার ছোট। তিনি সারা দিন রিকশা চালানোর পাশাপাশি ধর্ম-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এ অবস্থায় মেয়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে। মেয়েকে ফুটবল খেলা থেকে সরিয়ে আনতে এলাকার অনেকে দিনক্ষণও বেঁধে দিয়েছে। তবে তিনি কখনো মেয়েকে বারণ করেননি। এখন মেয়ের দল দেশসেরা হয়েছে। এ অবস্থায় নিন্দুকদের দেখিয়ে দিতে তিনি অসুস্থ শরীর নিয়েও নিজের রিকশা নিয়ে সদরে এসেছেন মেয়েকে নিয়ে যেতে। এলাকায় গিয়ে তিনি মেয়েকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন।

রোকসানা বলে, ‘আব্বা রাজি না থাকলে আমার ফুটবল খেলা সম্ভব ছিল না। এখন আর আমার খেলা নিয়া কেউ কোনো কথা বলে না। আব্বার কারণেই আমি ভালো ফুটবল খেলতে পারছি। আমি ফুটবল খেলে যেতে চাই।’

সমাজকে চপেটাঘাত করে রোকসানারা এগিয়ে যান। জীবনযুদ্ধে অনেক জায়গায় পরাজিত বাবা হয়তো এই জায়গাটিতে হাসেন বিশ্বজয়ের হাসি।

Bootstrap Image Preview