গত বুধবার (৩ এপ্রিল) ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। এ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে শিল্পীদের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিল্পীরা সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করেন। যে শিল্পীর সামান্য জনপ্রিয়তা আছে, সেও সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক না নিয়ে কাজে যান না। আর চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর শিডিউল নিয়ে শুরু করেন নানা টালবাহানা।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে একটি সিনেমার শুটিং করতে গিয়েছিল শুটিং ইউনিট। সেখানে এক নায়িকার জন্য আধুনিক সব ব্যবস্থাই করা হয়েছিল। ডিপ টিউবওয়েলেরও ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ডিপ টিউবওয়েলের পানিতে গোসল করবেন না বলে বেঁকে বসেন। এরপর নায়িকাকে প্রতিদিন মিনারেল ওয়াটার দিয়ে গোসল করাতে হয়েছে! এটা লজ্জাজনক কিনা? এই যদি হয় আমাদের অবস্থা তাহলে সিনেমার অবস্থা কী হবে? এজন্য আমরা সবাই দায়ী। চলচ্চিত্রের ধ্বংসের জন্য কম-বেশি সবাই দায়ী। চলচ্চিত্রের সমস্যা সমাধানের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
এছাড়াও মাঝে মাঝে অভিযোগ উঠেছে শিডিউল ফাঁসানো, শুটিং সেটে দেরি করে আসা, নিজের পছন্দ মতো পোশাক ব্যবহার করা, ৮-১০জন লোক সঙ্গে নিয়ে শুটিং করাসহ বিভিন্নভাবে নির্মাতা ও প্রযোজকদের হেনস্তা করছেন দেশের কিছু অভিনয়শিল্পী।