Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধুনটে ২ বছর ধরে শিক্ষা বৃত্তির টাকা পাচ্ছে না প্রতিবন্ধীরা

রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৭ PM
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৭ PM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার ধুনট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার উদাসীনতায় প্রায় ২ বছর ধরে ১৯৫ জন হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী  ব্যাংক থেকে শিক্ষা বৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। ফলে আর্থিক সংকটে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে তাদের লেখাপড়া। 

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১৯৫ জন হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রায় ১০ বছর ধরে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা বৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব নামে সোনালী ব্যাংক ধুনট শাখায় হিসাব নম্বর খোলা আছে।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে শিক্ষা বৃত্তির চেক নিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে এসব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। কিন্ত ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাত কারণে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে শিক্ষা বৃত্তির চেক প্রদান করা হচ্ছে না।

উপজেলার ফড়িংহাটা গ্রামের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী  আব্দুর রহিমের বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, আমার ছেলের নামে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা করে শিক্ষা বৃত্তির চেক দেয়। প্রায় ২ বছর ধরে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে ঘুরে ঘুরে ছেলের শিক্ষা বৃত্তির টাকার চেক মিলছে না। শিক্ষা বৃত্তির চেক চাইলে অত্র অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দুর্ব্যবহার করে। বৃত্তির টাকা না পাওয়ায় আর্থিক সংকটে ছেলের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলার বহালগাছা গ্রামের বৃত্তিপ্রাপ্ত নাইছ আকতারের হতদরিদ্র বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের নামে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা করে শিক্ষা বৃত্তির টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্ত প্রায় ২ বছর ধরে শিক্ষা বৃত্তির টাকার চেক পাচ্ছি না। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার উদাসীনতার কারণেই আমারা দীর্ঘদিন ধরে এই হয়রানির শিকার হচ্ছি।  

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল আলিম বলেন, আমি এ উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। প্রায় ২ বছর ধরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বৃত্তির টাকার চেক কেন পাচ্ছে না, তা আমি সঠিক করে বলতে পারছি না। 

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তার পদ শুন্য থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। তবে দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা বৃত্তির চেক বিতরণ বন্ধ থাকার কথা না। এ বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বগুড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম খান বলেন, এ বিষয়টি আমাকে কেউ কিছু বলেনি। তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট থেকে এ বিষয়টি জেনে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Bootstrap Image Preview