মাদারীপুরে একের পর এক খুন হচ্ছে। এক মাসে খুন হয়েছে ৪টি। এসব খুনের ঘটনার জের ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি, কুলপদ্বি ও ব্রাহ্মন্দী এলাকায় কমপক্ষে ২০ বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এতে প্রায় ২০ পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার শিমুলতলা এলাকার মোয়াজ্জেম মোল্লা নামে এক ব্যক্তির খুনের ঘটনার জের ধরে জনমানব শুন্য হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে নিরীহ লোকজনের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগে করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার ব্রান্মনদী এলাকার সিকিম আলি চৌকিদারের বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মাথা গোজার ঠাই নেই। আগুনে পুড়ে নি:শ্ব হয়ে গেছে পুরো পরিবার। ঘরের টিভি ফ্রিজ, আলমারী, নগদ টাকা গরু, ছাগলসহ সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া ঘরের সামনে বিলাপ করছে করছে ক্ষতিগ্রস্থ আছিয়া বেগম।
তিনি বলেন, আমরা মাইর কাইজ্জার মধ্যে নাই এর পরেও আমাদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আগে হারুন মোল্লার সাথে একটু শত্রুতা ছিলো। সেই শত্রুতার কারণে আমাদের ঘরে আগুন দিছে। আমরা জড়িত না, তাই আমাদের কেউ মামলা আসামীও না। আগে আমাদের অনেক কিছু ছিলো এখন পড়ের ঘরে রাতে থাকতে হয়। আমরা এর বিচার চাই।
এই একই চিত্র কুলপদ্বি ও ঝাউদি, ব্রান্মনদী বিভিন্ন এলাকায়। সড়েজমিন গিয়ে দেখা গেছে কমপক্ষে ২০টি বাড়িতে লুটপাট ও আগুন দিয়ে পুুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, ‘আমার চেষ্টা করছি দুই পক্ষকেই শান্ত রাখার। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আগুন দেয়ার ঘটনায় মুল আসামি হারুন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।