Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশ ‘ই’ যুগ পার করে ‘ডি’ যুগে প্রবেশ করেছে: মোস্তাফা জব্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৫০ PM
আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৫০ PM

bdmorning Image Preview


ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি গ্রহণের বিকল্প নেই। প্রযুক্তি গ্রহণে পৃথিবীতে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। পৃথিবী ডিজিটাল বিপ্লবের কথা যখন ভাবছে, বাংলাদেশ তখন বিপ্লব শুরু করেছে। এরই ধারা বাহিকতায় বাংলাদেশ ‘ই’ যুগ (ইলেকট্রনিক) পার করে ‘ডি’ যুগে (ডিজিটাল) প্রবেশ করেছে।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের উদ্যোগে ‘সিডস ফর দ্যা ফিউচার’ প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, চীনের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে একটু ভিন্নরকম ধারণা ছিল। চীন এখন প্রযুক্তিতে যথেষ্ট উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের চারদিকে চীনের প্রযুক্তিগত সম্পর্ক ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে প্রচলিত অর্থনীতির ধারা, যেটাকে আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতি বলি, সেটাকে অনুসরণ না করে ভিন্ন ধারায় এগিয়ে অর্থনৈতিক সফলতা অর্জন করেছে তারা। ধন-সম্পদ অর্জন করাই শ্রেষ্ঠতা নয়।
বরং সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন প্রকৃত সফলতা এনে দেয়। চীনের এই সফলতার অন্যতম কৃতিত্ব তাদের জনগণের। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে সামনের দিকে যদি যেতে হয়, তাহলে নতুন নতুন আবিষ্কার ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনলজি বাংলাদেশের সিইও  ঝাং জো ঝুন এবং বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের ইকনমিক এন্ড কমার্স কাউন্সিলর লী গুয়ান ঝু বক্তৃতা করেন।

বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। চলতি বছর বাংলাদেশর পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চমবারের মতো এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১২০ জন করে মোট ৬০০ শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ জন করে মোট ৭৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্যায়ে অংশ নেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে দুইজন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সিনিয়র শিক্ষক এবং হুয়াওয়ের বিশেষজ্ঞ দলের সহায়তায় এসব শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়েছে। বাছাইকৃত এই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক পরিচিতির জন্য দুই সপ্তাহের জন্য চীনে হুয়াওয়ের হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হবে।

Bootstrap Image Preview