পৃথিবীর যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে গৃহনির্যাতন তথা নারী-শিশুদের নির্যাতনের অভিযোগ থাকলে তার ভাগ্যে অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের ভিসা মিলবে না। এর আগেও মার্কিন আরঅ্যান্ডবি সিঙ্গার ক্রিস ব্রাউন এবং বক্সিং তারকা ফ্লয়েড মেওয়েদারকে নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। এখন নিয়মটি সকল বিদেশি ভ্রমণকারী এবং নাগরিকদের জন্যে প্রযোজ্য হবে। সম্প্রতি অভিবাসী আইনে নতুন যোগ ঘটেছে তাদের। খবর-আপওয়ার্দি।
এমনকি নির্যাতনকারী হিসেবে অভিযুক্ত এমন কেউ বর্তমানে বসবাস করে থাকলে নতুন নিয়মের বলে তাদেরকে খুব দ্রুত বের করে দেয়া হবে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার নিয়মটি কার্যকর করেছে এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। ফেডারেল মিনিস্টার ফর ইমিগ্রেশন, সিটিজেনশিপ অ্যান্ড মাল্টিকালচার অ্যাফেয়ার্স ডেভিড কোলম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের অস্ট্রেলিয়া মোটেও ছাড় দেবে না। বার্তাটা পরিষ্কার। যদি আপনি নারী অথবা শিশু নির্যাতনে অভিযুক্ত হয়ে থাকেন, এ দেশ আপনাকে স্বাগত জানায় না। এ ঘটনা যেখানেই ঘটুক, শাস্তি যাই হোক না কেন।
এই অপরাধীদের ভিসা বাতিল করে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে নিরাপদ আবাসে পরিণত করবো। এ ধরনের অপরাধ ভুক্তভোগী, তার বন্ধ এবং পরিবারের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। বিদেশি মেহমানরাও এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তাদেরও এ দেশে ঢুকতে দেয়া হবে না, যোগ করে কোলম্যান।
অস্ট্রেলিয়ার এমন পদক্ষেপ পৃথিবীর যেকোনো দেশের গৃহ-অপরাধীদের জন্যে কড়া বার্তা দেয়। কিন্তু এতে নিজের দেশের নাগরিকদের জন্যে সমস্যা সৃষ্টি করবে। দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালিত পারসোনাল সেফটি স্টাডিতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার ১৭ শতাংশ নারী এবং ৬ শতাংশ পুরুষ ১৫ বছর বয়স থেকে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সংখ্যাটা ২০০৫ সাল থেকে মোটামুটি স্থিতাবস্থায় ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার আইনের প্রফেসর হিদার ডগলাস জানান, এই সংখ্যা গল্পের একটা অংশমাত্র। নির্যাতনের শিকার অনেক মানুষই আইনের আশ্রয় নেন না। তবে নতুন নিয়মের মাধ্যমে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে। নির্যাতনকারীদের দেশত্যাগ করতে হবে। এটা ভালো দিক। আবার দেশের অনেক অঞ্চলেই এসব নির্যাতনের শিকার মানুষগুলো এ সংক্রান্ত সংস্থাগুলোর সহায়তা খুঁজছে।