নাকে পলিপ কেন হয় তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। তবে অ্যালার্জি যেমন ধুলা, ধোঁয়া এর অন্যতম কারণ। নাকে ময়লা থেকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনও পলিপের কারণ।
নাকের রক্তনালির অস্থিরতা থেকেও পলিপ হতে পারে। নাকের অ্যালার্জির সঙ্গে গলা ও ফুসফুসের অ্যালার্জির সম্পর্ক রয়েছে। নাকের অ্যালার্জি ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ না হলে হাঁপানি বেড়ে যেতে পারে বা হাঁপানি চিকিৎসা করা দুরূহ হতে পারে।
এর প্রাথমিক চিকিৎসা হল ধুলাবালি, ধোঁয়া, ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শে নাকে স্টেররেড স্প্রে ব্যবহার করা যায়।
এটি নিরাপদ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। নাক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে ওষুধে কাজ হতে চায় না। এক্ষেত্রে পলিপের অপারেশন করতে হয়।
আধুনিক যুগে পলিপের সর্বাধুনিক চিকিৎসা হল অ্যান্ডোসকপের মাধ্যমে অতি সূক্ষ্মভাবে পলিপগুলো সম্পূর্ণভাবে ফেলে দেয়া সম্ভব। পুরনো পদ্ধতিতে এ অপারেশন করলে পলিপের কিছু অংশ সাইনাসের ভেতর থেকে যায়। ফলে আবার পলিপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
জানা দরকার, পলিপ ছাড়াও নাকের ভেতরে কিছু মারাত্মক ইনফেকশন, টিউমার, ক্যান্সার এবং আরও জটিল সমস্যা আপাতদৃষ্টিতে পলিপ আকারে প্রকাশ পেতে পারে। তাই অপারেশনের পর পলিপের বায়োপসি করা উচিত।