Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্বনাথের ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহারের দাবি

পাভেল সামাদ, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০১৯, ১১:৫১ AM
আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৬ AM

bdmorning Image Preview


সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তাদেরকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে প্রত্যাহারের দাবি জানান, ‘বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদ’ ও ‘সচেতন বিশ্বনাথ সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র আহবায়ক মো: ফজল খান।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরার বিরুদ্ধে দায়িত্বের অবহেলা, টাকা ছাড়া কাজ না করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ দেওয়ার পরও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে নদী, খাল ও জলাশয়ের তীর দখল করানোর অভিযোগও আনা হয়েছে এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

গত ৭ জানুয়ারি স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা নির্মল পাল চৌধুরীর মাধ্যমে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরাকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করে ফজল খান উল্লেখ করেন, এই টাকা দিয়ে পরদিন তিনি উপজেলা সদরের পুরান বাজারের নৌকা ঘাঠে বাসিয়া নদীর তীরে গড়ে ওঠা একটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, সম্প্রতি খাজাঞ্চি ইউনিয়নের মুফতির বাজারে মরা সুরমা নদীর তীরে অবৈধভাবে মাটি কর্তন ও তিন তলা অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হয়। বিগত প্রায় দুই বছর ধরে এইসব কাজ চললেও দুই কর্মকর্তার কোনো মাথাব্যথা হয়নি। এ বিষয়েও তাদেরকে অবহিত করলে তারা আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। তাদের কথামত লিখিত অভিযোগ দিলে তারা ঘটনাস্থলে যাননি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কাছে ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করার পর সেখানে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে একজনকে আটক করে প্রশাসন। কিন্তু অবৈধ স্থাপনাগুলো বহাল তবিয়তে রয়েছে। 

এছাড়া, ২০১৮ সালের ১১ আগস্ট বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাস্টবিন বিতরণের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন তৎকালিন জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরার দায়িত্বের অবহেলার কারণে ডাস্টবিনগুলো উধাও হয়ে গেছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বনাথ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ভূমি কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, বাসিয়া নদী খনন নিয়ে ঠিকাদারকে কে বা কারা বিরক্ত করছে। এ বিষয় নিয়ে কাউকে কথা বলতে নিষেধ করে দুই দিনের মধ্যে বাসিয়ার খনন করা মাটি অপসারণ করা হবে বলে তিনি জানান। কিন্তু, প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও মাটি অপসারণ করা হয়নি। যে কারণে নদীর মাটি আবারও নদীগর্ভে পড়ে ফের ভরাট হতে চলেছে। এই দুই কর্মকর্তার এমন দায়িত্ব অবহেলার কারণে উপজেলার জনসাধারণের মধ্যে তাদের প্রতি অনাস্থা চলে এসেছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদারকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমাতুজ জোহরা ফজল খানের অভিযোগগুলো মিথ্যা দাবি করে বলেন, ২৬ শে মার্চ উপজেলা পরিষদের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ফজল খানের লেখা নাটক স্বাধীনতা বিরোধী হওয়ায় মঞ্চস্থ করতে দেওয়া হয়নি। তাই ফজল খান তাদের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

Bootstrap Image Preview