নরসিংদীর রায়পুরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাকির হোসেন (৩৫), পিতা মৃত: আব্দুল মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক অল্প শতাংশ জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ১৮ মার্চ নরসিংদী সদর থেকে রিক্সা চালিয়ে প্রতিদিনের মতো বাড়ি ফিরছিল জাকির হোসেন।
বাড়িতে গিয়ে দেখে তার স্ত্রী হনুফা ও মেয়ে মৌসুমী আক্তারকে পাশের বাড়ির কুখ্যাত সন্ত্রাসী আমির হোসেন ওরফে সাদ্দাম, নাদিম মিয়া, আনোয়ারা বেগম, নিপু ওরফে নাছিম, সুরাইয়া এলোপাতারীভাবে বাঁশ দিয়ে পিটাতে থাকে।
তার পাশের বাড়ির লোকজন এসে ঝগড়াটি থামিয়ে দিলে এক পর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনার আধা ঘন্টা পর আমির হোসেন এর নেতৃত্বে তার সঙ্গীদের নিয়ে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী ভাবে মোঃ জাকির হোসেনকে কোপাতে থাকে।
এক পর্যায়ে জাকির হোসেন তার নিজের আত্মরক্ষার্থে তাদের হাতে ধরলে বাম হাতের ২টি আঙ্গুল কেঁটে ফেলে তারা। তার ঘরের পিছনে গর্দানে একটি কোপ দেয়। ঘটনাস্থলে জাকির হোসেনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তার স্ত্রী ঘটনাস্থলে মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে যায়।
তার পাশের বাড়ির লোকজন জাকির হোসেনকে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে আনলে কর্তৃপক্ষ ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ঘটনার পর তার পরিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে কোন বিচার না পেয়ে নরসিংদী জেলার সংবাদকর্মী অফিসে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
এই বিষয় ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় যে, মোঃ জাকির হোসেন দীর্ঘ প্রায় ১০ বৎসর যাবত নরসিংদী শহরাঞ্চলে রিক্সা চালিয়ে সততার সাথে জীবনযাপন করছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হিংসাত্মকমূলক ঘটনাটি ঘটে বলে জানান তার পাশের বাড়ির প্রতিবেশী ফয়সাল উদ্দিন।
এই বিষয়ে সন্ত্রাসী আমির হোসেন ওরফে সাদ্দাম এর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে আপনারা কি করবেন করেন গিয়ে আমার কাজ আমি করেছি।
এদিকে জাকির হোসেনের খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে ও আইনের সহায়তা চাচ্ছে তার পরিবার।