Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ গেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৯, ০৭:১৯ PM
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯, ০৭:৫১ PM

bdmorning Image Preview


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। নিহত জনি তালুকদার (২৫) উপজেলার হলতা-গুলিশাখালী ইউনিয়নের কবুতরখালী গ্রামের মৃত হাতেম আলী তালুকদারের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

আজ  সোমবার সকালে কবুতরখালী গ্রামের বিলের পাড়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, আগামী ৩১ মার্চ মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের পক্ষে কাজ করছিলেন জনি। এ উপজেলায় আগের মেয়াদের রিয়াজের ভাই জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আশরাফুর রহমান চেয়ারম্যান ছিলেন।

গত সংসদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবার তিনি উপজেলা নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন পাননি। এ উপজেলায় এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন হোসাইন মোশারেফ সাকু। গত শনিবার রাতে উপজেলার গুলিসাখালী বাজারে জনসভা শেষে ফেরার সময় সাকুর ওপর হামলা হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে সাকুসহ ৪ জন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ওই হামলার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজের সমর্থকদের দায়ী করেছেন সাকুর সমর্থকরা। এর জের ধরে জনির ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা তাদের।

মঠবাড়িয়া থানার এম আর শওকত আনোয়ার বলেন, নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে কবুতরখালী গ্রামের বিলের কাছে জনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। উদ্ধার করে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Bootstrap Image Preview