কিশোরগঞ্জের ১০ উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত যারা

কিশোরগঞ্জের ১৩ টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কটিয়াদী উপজেলার সবকটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া বাকি ১২টি উপজেলার মধ্যে মিঠামইনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আছিয়া আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে বাজিতপুর উপজেলায় ছয়টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

এছাড়া ১০ উপজেলায় বেসরকারিভাবে যারা নির্বাচিত হলেন, কিশোরগঞ্জ সদরে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মামুন আল মাসুদ খান। তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাকাউদ্দিন আহাম্মদ রাজন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৯৩ ভোট।

করিমগঞ্জ উপজেলায় ৪৪ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নাসিরুল ইসলাম খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুর রহমান পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩০১ ভোট।

তাড়াইল উপজেলায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ২৬ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজিজুল হক পেয়েছেন ১৬ হাজার ১ ভোট।

হোসেনপুর উপজেলায় ৩১ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ সোহেল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শাহজাহান পারভেজ পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৯২ ভোট।

পাকুন্দিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম রেনু ৪২ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির জাহাঙ্গীর আলম শওকত পেয়েছেন ৭ হাজার ১৬০ ভোট।

নিকলী উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস ভূঁইয়া ২৮ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কারার সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩০৭ ভোট।

ইটনা উপজেলায় চৌধুরী কামরুল হাসান ৪৫ হাজার ৩১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এ্যাড. খলিলুর রহমান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪৩ ভোট।

অষ্টগ্রাম উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম জেমস ২৪ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোস্তাক আহমেদ কমল মিয়া পেয়েছেন ২১ হাজার ২৮৩ ভোট।

কুলিয়ারচর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইয়াছির মিয়া ৪০ হাজার ৯৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুস সাত্তার পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৪ ভোট।

ভৈরব উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সায়দুল্লাহ মিয়া ৫৮ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল মনসুর পেয়েছেন ৩০ হাজার ১৭৯ ভোট।