Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্বামীর পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর করুণ পরিণতি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৯, ১১:৪৭ AM
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯, ১১:৪৭ AM

bdmorning Image Preview


৪ বছরের আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন খাদিজা আক্তার ও ফরহাদ। বিয়ের পর স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় পরপারে পাড়ি জমাতে হলো খাদিজাকে । স্বামীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে টানা ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।

সোমবার (২৫মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করলে পরিবারের পক্ষ থেকে রাতে নিশ্চিত করা হয়।

নিহত খাদিজা আক্তার নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল রশিদের মেয়ে। আর অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেন ফতুল্লার কাশিপুর হাটখোলা এলাকার ইয়ার হোসেন ভুট্টুর ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফরহাদকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন খাদিজা আক্তার। কিন্তু স্বামী বিয়ের ৪ বছরের মধ্যেই অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন।

নিহতের মা নূরজাহান জানান, গত ১২ মার্চ মেয়েকে দেখতে শ্বশুরবাড়ি কাশিপুর হাটখোলা যান। কিন্তু তাকে মেয়ের ঘরে যেতে দেয়া হচ্ছিল না। এতে তার সন্দেহ হয়। পরে একপ্রকার জোর করেই ঘরে প্রবেশ করেন এবং মেয়েকে আধমরা করে খাটের নিচে ফেলে রাখতে দেখেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি।

খাদিজার ভগ্নিপতি বলেন, তার শ্যালিকা খাদিজা ভালোবেসেই বিয়ে করেছিল ফরহাদকে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নানা সময়ে যৌতুক দাবি করতো ফরহাদ। যৌতুকের দাবিতে খাদিজাকে প্রায় সময় মারধরও করত সে। তাদের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তানও আছে। এরইমধ্যে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে ফরহাদ। মূলত পরকীয়া আর যৌতুক নিয়ে প্রায় সময় খাদিজাকে নির্যাতন করা হতো।

এদিকে শনিবার (২৩ মার্চ) খাদিজা আক্তারের ভগ্নিপতি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় খাদিজাকে নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় ফরহাদসহ তার পরিবারের ৪ জনকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, শনিবার এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল এবং একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। মেয়েটি মারা গেছে কিনা জানা নেই। তবে এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview