Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পরকীয়া প্রেমিকার সাথে রাত কাটাতে গিয়ে ধরা পরলেন দুই সন্তানের জনক!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০১৯, ১১:২৭ AM
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯, ১১:২৭ AM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওরাঞ্চলে পরকীয়া প্রেমিকার সাথে রাত কাটাতে গিয়ে আলম মিয়া (৩৫) নামে এক প্রেমিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন গ্রামবাসী। 

শনিবার (২৩ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলের জিংলিগড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আটক আলম মিয়া উপজেলার জিংলিগড়া গ্রামের মৃত আরজ আলীর ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক তিনি।

এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে পরকীয়া প্রেমিকা রুনা আক্তার (২৫) বাদি হয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে আলমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্মপাশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলার জিংলিগড়া গ্রামের মৃত আব্দুর নবীর ছেলে দিনমজুর খাইরুল ইসলাম তার স্ত্রী সন্তানকে বাড়িতে রেখে দীর্ঘদিন ধরে তিনি চট্রগ্রাম শহরে দিনমজুরের কাজ করে আসছেন। এরই সুযোগে গত প্রায় ১ বছর ধরে একই গ্রামের মৃত আরজ আলীর ছেলে আলম মিয়ার সাথে তার স্ত্রী রুনা আক্তারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তারা গোপনে অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছিলেন। পরে গত প্রায় ৬ মাস আগে তাদের এ পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি আলমের স্ত্রী গজবা বেগমের নজরে পড়ে। এ নিয়ে তখন থেকেই তারা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকত। 

প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাত নয়টার দিকে প্রেমিক আলম নিজ বসত ঘরে রাতের খাবার শেষে ঘর থেকে বেড়িয়ে গিয়ে তিনি রাতে নিজ ঘরে আর ঘুমাতে আসেননি। পরে শনিবার ভোর ৪টার দিকে আলম তার পরকীয়া প্রেমিকার ঘরে রাত কাটানোর বিষয়টি প্রতিবেশীরা টের পেয়ে প্রেমিকার ঘর থেকে আলমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে আটক আলমের স্ত্রী গজবা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে বলেন, আমার স্বামীর সাথে রুনা প্রায় ১ বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং তারা অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসলেও তাদের এ বিষয়টি গত প্রায় ৬ মাস আগে আমার কাছে ধরা পড়ে।

তিনি বলেন, রুনা আমার স্বামীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে সে আমার স্বামীর কাছ থেকে অনেক টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। আর এ নিয়ে স্বামীর সাথে আমার প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। 

এ বিষয় ধর্মপাশা থানার ওসি এজাজুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview