নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে চলছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাধীন মাদরাসা আলয়িা শাখা ছাত্রলীগ। ফলে আলিয়া মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগরে কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
নানা সময়ে অবৈধভাবে হলের সিট বাণিজ্য এবং ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকা সত্বেও নেতৃত্বদানকারী মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ নির্বিকার। বর্তমান কমিটির বয়স তিন বছর হয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। মেয়াদ শেষ হওয়া এই কমিটির অত্যাচার এবং সিট বাণিজ্যের কাছে হল ছাড়তে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
২০১৬ সালের মার্চ মাসে শাহাদাত হোসনে নিলয়কে সভাপতি ও সুলায়মান আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয় তৎকালীন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খান এবং সাধারন সম্পাদক সাব্বির আহমেদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের এক কর্মী বলনে, কমিটি আট সদস্যরে হলেও মূলত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দখলে হল এবং ক্যাম্পাস। অন্যান্য নেতৃবৃন্দর কোনো অবস্থান নেই বললেই চলে। অথচ বিগত দুই বছর ধরে কর্মীদেরে থেকে বার বার সাংগঠনিক সিভি নেওয়ার পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়নি।
তিনি আরো জানান, এ নিয়ে মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে জানানো হলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমরা এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
রহমান নামে হল ত্যাগকারী এক ছাত্র জানায়, আমাদেরকে দিয়ে সভাপতি ও সেক্রেটারি ছাত্রলীগের প্রাগ্রাম ছাড়াও ভাড়াটে প্রোগ্রাম করাত। সর্বশেষ বিরক্ত হয়ে হল ছাড়তে বাধ্য হই। তাদের অত্যাচারে হলে এবং ক্যাম্পাসে সকল ছাত্র অসহায়। তারা ভাড়াটে প্রোগ্রাম করিয়ে নিজেরা অর্থ আয় করলেও সাধারণ কর্মীদের সব কিছু থেকে বঞ্চিত করে। ছাত্রদের তারা কোনো সহায়তা করে না।
আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসনে নিলয়ের বিরুদ্ধে গুলিস্থানে থেকে কেল্লার মোড় এবং চকবাজার রুটে লেগুনা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও হলের আশ পাশের সকল ব্যবসায়ির কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।
এ ব্যাপারে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।