Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

৭ বিভাগের ২৫ জেলার ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে সরঞ্জামাদি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০৩:০৪ PM
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০৩:০৪ PM

bdmorning Image Preview


রবিবার (২৪ মার্চ) তৃতীয় ধাপের ১১৭ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। ৭ বিভাগের ২৫ জেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এই তিনটি পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরই মধ্যে কেন্দ্র কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

ওইদিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ র‌্যাব, আনসার, এপিবিএন পাশাপাশি বিডিআর ও সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হচ্ছে। 

জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে নির্বাচনের আগের দুইদিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দুইদিনসহ মোট পাঁচদিন নির্বাচনী এলাকায় অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন থাকছে। নির্বাচনের দিন প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৪ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের সাত উপজেলার চারটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। বাকী তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পাশাপাশি রয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। সাত উপজেলায় চেয়ারম্যানপদে নয়জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৯ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টার পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম ও মালামাল পাঠানোর হয়েছে। 

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশও ভাল। আশা করছি ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সাত উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ১১ লাখ ১০ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৫২ হাজার ৭২১ জন এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৪ জন।

ঝিনাইদহ 

োঝিনাইদহের ৪টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। 

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার সরোজ কুমার নাথ জানান, ভোটগ্রহণের জন্য কেন্দ্রে সদর উপজেলা, কালীগঞ্জ, শৈলকূপা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় সকল প্রস্তুতিগ্রহণ করা হয়েছে। 

নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা রয়েছে ৪২৩টি। এর মধ্যে ২৫৫টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে ধরা হয়েছে।

অন্যদিকে, শৈলকূপা উপজেলা ১২০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্রকে ‘বেশি ঝুঁকিপূর্ণ’ বলা হচ্ছে। ঝিনাইদহে ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। 

রাজবাড়ী

রাজবাড়ী চার উপজেলায় ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে দুইদিন ওইসব এলাকায় যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে একযোগে রাজবাড়ী সদর, পাংশা, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ভোটগ্রহণের স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার ও সিল সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং, পুলিং ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া, নির্বাচনে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি ও র‌্যাবের অতিরিক্ত ফোর্স টহল দিচ্ছে।
  
কুষ্টিয়া

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ৩য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলার মোট ৬১১টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে।  

শনিবার সকাল থেকেই স্ব-স্ব ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসাররা দায়িত্বরত সহযোগীদের নিয়ে দলগতভাবে এসে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে এসব সরঞ্জাম গ্রহণ করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। 

এদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলাব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল দিচ্ছে। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আজাদ জাহান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, জেলা জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে ১৩ প্লাটুন বিজিবি।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান আতা জয়ী হওয়ায় এই উপজেলায় শুধু ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। 

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় উপজেলা নির্বাচন অফিসগুলো থেকে শনিবার সকাল ১১টা থেকে নির্বাচন সামগ্রী প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারের হাতে ব্যালট বাক্স, ব্যালটসহ নির্বাচন সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেয়া হয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, আনছার ভিডিপি সদস্যদের।

জেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৯৭টি। এর মধ্যে ৪৯৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। মোট ভোটার রয়েছে ১৫ লাখ ৬০ হাজার।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, সদরের ১৩৭টি ভোট কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন সামগ্রী পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। 

লক্ষ্মীপুর

তৃতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচন সরঞ্জামাদি। 

শনিবার সকাল থেকে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা উপজেলা প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে দেখা গেছে। একইভাবে জেলার অন্যান্য উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন সরঞ্জামাদি পাঠানো হচ্ছে। 

এদিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তারা টহলে দিচ্ছে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীসহ দলের ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব উপজেলায় মোট ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন।   

এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪৬টি ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনী কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলায় ১৯'শ পুলিশ সদস্য, ১১ প্লাটুন বিজিবি, ১০ প্লাটুন র‌্যাব সদস্য ও ৫ হাজার ৪৯৬ জন আনসার সদস্য রয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।  

Bootstrap Image Preview