Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ক্রাইস্টচার্চে হামলা: সন্তানের লাশ দাফন শেষে মায়ের মৃত্যু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০১:৫৫ PM
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০১:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


সন্তানের লাশ দাফনে হাজির হওয়ার পর হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন মা। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ফিলিস্তিনি কামেল দারবিশ (৩৮)। তার দাফন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মা সাউদ আবদেল ফাত্তাহ মহসিন আদওয়ান (৬৫)। সন্তান হারানোর পর তার হৃদয়ে ক্ষরণ হচ্ছিল। অবশেষে তিনি হার্টঅ্যাটাকে মারা গেলেন। 

শনিবার (২৩ মার্চ) সিডনিভিত্তি জর্ডান দূতাবাসের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে অনলাইন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড। 

খবরে বলা হয়, নিহত কামেল দরবিশ একটি ডেইরি ফার্মে কাজ করতেন। তিনি বিবাহিত। রেখে গেছেন তিনটি সন্তান। বড়ভাইয়ের সঙ্গে যোগ দিতে তিনি গত বছর জর্ডান থেকে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমান। তার সঙ্গে থাকার জন্য ভিসা আবেদন করেছিলেন স্ত্রী ও সন্তানরা। গত সপ্তাহের শুক্রবারে অন্য মুসলিমদের সঙ্গে তিনিও গিয়েছিলেন আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে। অকস্মাৎ সেখানে সন্ত্রাসী হামলা চালায় ব্রেনটন টেরেন্ট। তার গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে নিহত হন ৫০ জন মুসলিম। তার মধ্যে কামেল দরবিশ অন্যতম। তার দাফন অনুষ্ঠানে শুক্রবার জর্ডান থেকে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেন মা সাউদ আবদেল ফাত্তাহ মহসেন আদওয়ান (৬৫)। এদিন কামেলের দাফন সম্পন্ন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মা। সন্তানকে কবরদেশে নামানোর পর শনিবার হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন তিনি। কারণ, সন্তান হারানোর বেদনা তিনি আর বহন করতে পারছিলেন না। 

নিউজিল্যান্ডে অবস্থানরত কামেলের বড়ভাই ছোটভাইকে দাফন করার পর এখন মায়ের মৃতদেহ জর্ডানে নিয়ে যাওয়ার আয়োজন করছেন। ক্রাইস্টচার্চের হামলার পর আরো দুই-চারজন আত্মীয় হার্টঅ্যাটাকের শিকারে পরিণত হয়েছেন। 
আল নূর মসজিদে দু’দফা গুলিতে মারাত্মক আহত হন বাংলাদেশের সাজেদা আখতার। এ খবরে বাংলাদেশে হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হন তার মা। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সৌদি আরবের নাগরিক মোহসিন আল হারবি (৬১)। তিনি টেরেন্টের প্রথম দফা হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন।  তার স্ত্রী মানাল এতে ভীষণ ভেঙে পড়েন। তাকে খুঁজতে গিয়ে তিনি হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হন। তাকে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

Bootstrap Image Preview