তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা গতকাল মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। আগামীকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১১৭ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় ধাপে ১২৭টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হলে এর মধ্যে ছয়টি উপজেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোট হবে না। এছাড়া, এই ধাপ থেকে কক্সবাজার সদর ও নরসিংদী সদরের ভোট চতুর্থ ধাপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ভোট স্থগিত রয়েছে।
এই ধাপে যে ছয়টি উপজেলায় সবাই ভোট ছাড়া নির্বাচিত হয়েছেন সেগুলো হলো- বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, নরসিংদীর পলাশ এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা। এই ধাপে ৩৩ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া, ভাইস চেয়ারম্যান ৯ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৫৮ জন, ভাইস চেয়ানম্যান পদে ৬০৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪১৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের মতো। প্রায় সোয়া দুই কোটির মতো ভোটার তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করবেন এই ধাপে। ভোটের নিরাপত্তায় এরই মধ্যে কয়েকটি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের ২৩ থেকে ২৫ মার্চ ক্যাম্পের চৌহদ্দির বাইরে যাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এদিকে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হলেও এই প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ১০টি উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে।