Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফ্লাই গ্লোবালকে ৩২ লাখ ডলার দিতে হবে না বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪০ PM
আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


২০১৮ সালে এক বছরের ওয়েট লিজ চুক্তির ভিত্তিতে মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজ ইজারাদাতা-প্রতিষ্ঠান ফ্লাই গ্লোবাল থেকে তিনটি বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ ইজারা নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

ওয়েট লিজের (ভাড়ায়) শর্ত অনুযায়ী ফ্লাই গ্লোবালের বৈমানিক ও ক্রু দিয়ে এসব উড়োজাহাজের ফ্লাইট পরিচালনা করতে নানা সমস্যায় পড়ে বিমান। ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয়সহ নানা কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটিকে। দীর্ঘদিন অচল পড়ে থাকে উড়োজাহাজগুলো।

ফ্লাই গ্লোবাল শর্ত অমান্য করায় বিমানও তাদের দাবি করা ৪০ লাখ ডলার (প্রায় ৩৪ কোটি টাকা) পরিশোধ করবে না বলে জানিয়ে দেয়। এ নিয়ে তিন মাস ধরে চলে বাগ্বিতণ্ডা। বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা করতে গত সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্ল্যানিং) এয়ার কমোডর মাহবুব জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ায় যায়। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনায় ৮ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে এক বছরের ওয়েট লিজ চুক্তির ভিত্তিতে ফ্লাই গ্লোবালের তিনটি বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ নিজস্ব বহরে যুক্ত করে বিমান।

ওয়েট লিজের শর্ত অনুযায়ী ফ্লাই গ্লোবালের বৈমানিক ও ক্রু দিয়ে এসব উড়োজাহাজের ফ্লাইট পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিপত্তির সম্মুখীন হয় বিমান। নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট ছেড়ে না যাওয়া, হঠাৎ ক্রু অসুস্থ হয়ে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে সংকটের মুখোমুখি হয় বিমান কর্তৃপক্ষ।

চুক্তি শেষে বিমান কর্তৃপক্ষ তিনটি উড়োজাহাজই ফেরত পাঠায়। গত বছরের ১৭ নভেম্বর ফ্লাই গ্লোবাল থেকে ইজারায় আনা সর্বশেষ উড়োজাহাজটিও ঢাকা ছেড়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, ‘ফ্লাই গ্লোবাল চুক্তিমতো সেবা দেয়নি। লিজে আনা উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনায় প্রায়ই ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় বিমানকে। যে কারণে উড়োজাহাজগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

আগামীতে ফ্লাই গ্লোবাল থেকে উড়োজাহাজ লিজে আনবেন কিনা-এমন প্রশ্রের জবাবে মোসাদ্দিক আাহমেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে বিমান পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেবে।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমানের বহরে উড়োজাহাজ রয়েছে ১৩টি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি বোয়িং-৭৮৭ ‘ড্রিমলাইনার’ উড়োজাহাজ। এ ছাড়া রয়েছে চারটি বোয়িং-৭৩৭-৮০০ ও তিনটি ড্যাশ-৮-কিউ-৪০০ উড়োজাহাজ। বহরের এ ১৩টি উড়োজাহাজের মধ্যে পাঁচটি আনা হয়েছে লিজে।

Bootstrap Image Preview