স্বভাবগত লাজুকতা ভেঙ্গে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে ক্রাইস্টচার্চে কয়েক হাজার মুসল্লির সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছেন রাগবি খেলোয়ার সনি বিল উইলিয়ামস। তার জন্ম একটি খ্রিস্টান পরিবারে। ৩৩ বছর বয়সী বিন উইলিয়ামস ২০০৮ সালে ইসলাম ধর্ম প্রহণ করেন।
গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার ঘটনার এক সপ্তাহ পর আজ স্থানীয় সময় শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেছেন মসুল্লিরা। সে সময় মুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি সমবেদনা জানাতে সেখানে ছুটে গেছেন সনি বিল উইলিয়ামস।
স্বভাবের দিক থেকে খুবই লাজুক এই খেলোয়ার। কিন্তু নীরবতা ভেঙে মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। অন্যান্য মুসলিমদের সঙ্গে একই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন। আজ স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে আজান এবং জুমার নামাজ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
এতে একই সময়ে সারাদেশে আজানের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল চারপাশ। নামাজেও ছিল মানুষের ঢল। মসুল্লিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এবং নিহতদের প্রতি সম্মান জানাতে আল নুর মসজিদের কাছে হেগলি পার্কে সমবেত হয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের কয়েক হাজার মানুষ। সে সময় প্রখ্যাত এই মুসলিম রাগবি খেলোয়াড় ও পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা নিজ ধর্মের ভাই-বোনদের প্রতি নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন।
সেখানে তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেন, একজন গর্বিত মুসলিম ছাড়াও তিনি নিউজিল্যান্ডের একজন গর্বিত নাগরিক। সব ধরনের সমর্থন দেয়ায় তিনি নিউজিল্যান্ডের জনগণ এবং তার রাগবি দলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন প্রাণ হারায়। আহত হয় আরও বহু মানুষ। মসজিদে বন্দুকধারীর অতর্কিত হামলায় শোকের ছায়া নেমে আসে নিউজিল্যান্ডে। ওই হামলার পর প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন এই দিনটিকে দেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায় বলে উল্লেখ করেন।