নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহত ৫ বাংলাদেশির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জুমার নামাজের পর ক্রাইস্টচার্চে গণজানাজা শেষে দুই বাংলাদেশি ড. আবদুস সামাদ ও হোসনে আরাকে নিউজিল্যান্ডেই দাফন করা হয়। অপর ৩ বাংলাদেশি ওমর ফারুক, মোজাম্মেল হক ও জাকারিয়া ভুঁইয়ার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
এর আগে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে দেশটির টিভি-রেডিওতে প্রচারিত হয় জুমার নামাজের আযান। এসময় মসজিদের বাইরে আয়োজিত নামাজের স্থানে গত শুক্রবারের (১৫ মার্চ) হামলায় নিহতদের জন্য ২মিনিট নিরবতা পালন করতে উপস্থিত ছিলেন দেশটির স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন।
হ্যাগলি পার্কের আল-নুর মসজিদের পাশে হাজারো মানুষের উপস্থিতির মধ্যে জুমার খুৎবা পাঠের আগে জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন জাসিন্দা।
তিনি বলেন, ‘পুরো নিউজিল্যান্ড আপনাদের সঙ্গে রয়েছেন, আপনাদের সঙ্গে শোক প্রকাশ করছেন। আমরা সবাই এক।
সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের অধিকাংশ অভিবাসী। পাকিস্তান, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, সোমালিয়া, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের থেকে যারা শান্তির খোঁজে দেশটিতে পারি জমিয়েছিলেন।
মন্ত্রী ও নিরাপত্তা বাহিনীর বেষ্টনীর ভেতরে অবস্থান করা আরডানের পরণে ছিল কালো পোশাক। তিনি মাথায় হিজাব পরে ছিলেন। এমনকি হ্যাগলি পার্কের নারী পুলিশেরাও কালো হিজাব পরেছিলেন।
আল নুর মসজিদের ইমাম জামাল ফাওয়াদ ২০ মিনিটের মতো খুতবা দেন আজকের জুমার নামাজে। সহানুভূতি প্রকাশের জন্য তিনি আরডানকে ধন্যবাদ দেন। তার খুতবা দেশটিতে জাতীয়ভাবে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কিউ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তিনি বলেন, এটা বিশ্বনেতাদের জন্য একটা শিক্ষা। হিজাব পরে আমাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ ও পরিবারগুলোর প্রতি আপনার সহানুভূতির জন্য ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, ইসলামবিদ্বেষের মাধ্যমে মুসলমানদের মানবিক অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। কাজেই ঘৃণা প্রচার ও ভয়ের রাজনীতি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ওয়েলিংটন, অকল্যান্ড ও অন্যান্য শহরগুলোর মসজিদে হাজার হাজার লোক জমায়েত হয়েছেন। এছাড়া দেশটির অমুসলিম নারীরা সংহতি প্রকাশ করতে আজ হিজাব পরেছেন।