পাকিস্তানে নবীনবরণ অনুষ্ঠান নারী-পুরুষদের সম্মিলিত করে আয়োজন করায় শিক্ষককে হত্যা করেছে এক শিক্ষার্থী। নিহত হামিদ কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত খাতিব হুসেইন বিএস এর ৫ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
বুধবার (২০ মার্চ) সকালে বাহাওয়ালপুর গভ.সাদিক এগারটন কলেজে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক হামিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় খাতিবের। ওই অনুষ্ঠান আয়োজনের বিপক্ষে ছিলেন খাতিব। কারণ তিনি মনে করেন, এই অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে নারী-পুরুষদের সম্মিলিত করা ইসলামবিরোধী। আর এই বিরোধের জের ধরেই শিক্ষক হামিদের মাথা ও পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন খাতিব। ঘটনার পর পরই আহত অবস্থায় হামিদকে বাহাওয়ালপুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালেই মারা যান হামিদ।
হামিদের ছেলে বলেন, আমার বাবা অফিসে প্রবেশ করছিলেন ঠিক সে সময়ই খাতিব বাবাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং আমি তার কাছে দৌঁড়ে যাই। এদিকে ওই শিক্ষার্থী হাতে ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং চিৎকার করে বলতে লাগলেন, আমি হামিদকে হত্যা করেছি।
তিনি আরও বলেন, খাতিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই হত্যার অস্ত্রসহ অভিযুক্ত খাতিবকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।