শরীয়তপুরে ভুল চিকিৎসায় তিন বছরের এক শিশুর কান নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার শরীয়তপুর আদালতে একটি মামলা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার পৌর শহরের হাজী শরীয়তউল্লাহ্ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টার ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। শিশু তাসমিয়া সদর উপজেলার তুলাসারে বসবাসকারী মো. সানাল মিয়ার মেয়ে।
শিশুটির বাবা সানাল মিয়া ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার তাসমিয়া বাসায় শিমের বিচি নিয়ে খেলা করছিল। হঠাৎ শিমের বিচি তার ডান কানে ঢুকে যায়। কানে যন্ত্রণা হলে মঙ্গলবার তাসমিয়াকে চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন) ডা. মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে যাই। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র না থাকার অজুহাতে চিকিৎসক তার প্রাইভেট চেম্বার হাজী শরীয়তউল্লাহ্ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টারে নিতে বলেন। ক্লিনিকে নিয়ে গেলে লোহার সরু লম্বা শলাকা ব্যবহার করে কানের ভেতর থেকে শিমের বিচি বের করার চেষ্টা করেন।
একপর্যায়ে শিশুটির কানের পর্দা ও মাংসপিন্ড ছিঁড়ে নিয়ে আসে। শিশুটির কান দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে ওঠে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অপচিকিৎসার কারণে তাসমিয়া ওই (ডান) কানে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেছে ।
তাসমিয়ার বাবা মো. সানাল মিয়া বলেন, মিজান ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ের কান সারা জীবনের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে ডা. মিজানুর রহমান বলেন, কোনো ডাক্তার রোগীর ক্ষতি চায় না। আমার বিরুদ্ধে এটা মিথ্যা অভিযোগ।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত¡বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।