তিন দশক বাদে ডাকসু নির্বাচন দেখার পর এবার চাকসু নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে চাকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার উপর।
বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির সভায় চাকসু নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তবে নির্বাচনের দিন-তারিখ এখনও ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলে তারপর পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করে চাকসু নির্বাচন দেওয়া হবে।
উপাচার্য বলেন, ‘এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার জন্য সাক্ষাতের সময় চেয়েছি। কারণ প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচন সংক্রান্ত নীতিমালা অনেক পুরনো। এটি যুগোপযোগী করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি হবে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ)। তারপর সিন্ডিকেটে বিষয়টি তোলার পর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলেই চাকসু নির্বাচন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সর্বপ্রথম চাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে। এরপর মাত্র ছয়বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন শহীদ আবদুর রব ও জিএস হন মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ১৯৭২ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনে ভিপি হন শমসুজ্জামান হীরা ও জিএস হন মাহমুদুর রহমান মান্না।
১৯৭৪ সালের তৃতীয় নির্বাচনে ভিপি হন এসএম ফজলুল হক ও জিএস হন গোলাম জিলানী চৌধুরী, ১৯৭৯ সালের চতুর্থ নির্বাচনে ভিপি হন মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী ও জিএস হন জমির চৌধুরী, ১৯৮১ সালের পঞ্চম নির্বাচনে ভিপি হন জসিম উদ্দিন সরকার ও জিএস হন আবদুল গাফফার এবং সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভিপি নির্বাচিত হন নাজিম উদ্দিন ও জিএস হন আজিম উদ্দিন।
তিন দশক পর গত ১১ মার্চ ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও চাকসু নির্বাচনের দাবি তোলে।
এই প্রেক্ষাপটে বুধবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সভা বসে। তাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়।
উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচন সংক্রান্ত নীতিমালা অনেক পুরনো। এটি যুগোপযোগী করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি হবে। বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম শেষে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে তারিখ ঘোষণা হবে।